shono
Advertisement

Breaking News

মিষ্টিতেও লেখা ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’, পুরুলিয়ায় নজরকাড়া প্রচার তৃণমূলের

শাসকদলের এই ‘মিষ্টি প্রচার’কে অবশ্য কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি।
Posted: 03:51 PM Mar 06, 2021Updated: 05:47 PM Mar 06, 2021

সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: বাঙালির উৎসব–পার্বণে মিষ্টি ছাড়া যেন পূর্ণতাই পায় না। তাই নির্বাচনের মতো উৎসবে মিষ্টিতেও লেগেছে ভোটের (Assembly Election) রং। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের মূল স্লোগান ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’। এই স্লোগানে কলকাতা থেকে কোচবিহার, পাঁশকুড়া থেকে পুরুলিয়া হোর্ডিং, ব্যানার, পোস্টারে ছয়লাপ হয়ে গিয়েছে সমগ্র বাংলা। ঝাড়খণ্ড লাগোয়া প্রান্তিক পুরুলিয়াও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে পুরুলিয়া বিধানসভায় শাসকদলের এই স্লোগানকে ঘিরে রয়েছে আরও অভিনবত্ব। ক্ষীর দিয়ে তৈরি সন্দেশে লেখা রয়েছে তৃণমূলের স্লোগান, ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’। সেই সঙ্গে জোড়া ফুলের প্রতীক।

Advertisement

শুক্রবার প্রার্থী ঘোষণা হতেই পুরুলিয়া বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া এলাকায় একাধিক মিষ্টি দোকানে মিলছে তৃণমূলের ওই স্লোগান লেখা সন্দেশ। ক্ষীর–খোয়া দিয়ে তৈরি বড় গোলাকার এই সন্দেশের দাম রাখা হয়েছে ৫০ টাকা। শহরের বি.টি. সরকার রোডের মিষ্টি দোকানের কর্ণধার সুদীপ মল্লিক বলেন, “আমরা দিদির অনুগামী। তাই দিদিকে ভালবেসে পুরুলিয়া বিধানসভার প্রার্থী সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে এই মিষ্টি বানিয়েছি। প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পর থেকে দেদার বিক্রি হচ্ছে এই সন্দেশ। ভোটের আগে পর্যন্ত আমাদের এই সন্দেশ তৈরির কাজ চলবে। আমরা চেষ্টা করছি, এই সন্দেশ চেহারায় ও স্বাদে যাতে আক্ষরিক অর্থেই বাঙালির রসনা তৃপ্তি হয়।”

[আরও পড়ুন: এবার সস্তায় 4G কানেকশন যুক্ত ল্যাপটপ ‘জিওবুক’ আনছে আম্বানির কোম্পানি]

নানা মেগা কাজে বাঙালির জিভে জল আসা মিষ্টিকে ব্যবহার করা হয়েছে। বিশ্বকাপ ফুটবল থেকে ক্রিকেট। সম্প্রতি করোনা সচেতনতাতেও মুখে মাস্ক লাগানো থেকে স্বাস্থ্য বিধির বার্তা ফুটে উঠেছে মিষ্টিতে। আগেও মিষ্টিতে ছিল ভোটের রং। তৃণমূল ও সিপিএমের প্রতীক দেখা গিয়েছিল সুস্বাদু সন্দেশে। কিন্তু এবার তাকে ছাড়িয়ে একেবারে দলের স্লোগানের কথা লেখা রয়েছে। তাই পুরুলিয়া বিধানসভার তৃণমূলের (TMC) প্রার্থী তথা পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি মানুষের ভালবাসা। সেই সঙ্গে দিদির হাত ধরে পুরুলিয়ায় যে উন্নয়ন হয়েছে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতেই বিভিন্ন মিষ্টি বিপণী এই কাজ করছেন। খুবই ভাল উদ্যোগ। বাহবা না জানিয়ে পারছি না।”

কিন্তু শাসকদলের হয়ে ‘মিষ্টি প্রচার’কে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া পুরুলিয়ার বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, “যারা এই কাজ করছেন বুঝতে হবে তৃণমূলের থেকে কোন স্বার্থ রয়েছে। নাহলে প্রশাসনিক সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস আছে।” মিষ্টিতে রাজনীতির রং নিয়ে তৃণমূল–বিজেপির তরজা শহর পুরুলিয়ায় তুঙ্গে উঠলেও সাধারণ মানুষ কিন্তু ওই সন্দেশের স্বাদ নিতে ভিড় জমাচ্ছেন ওই মিষ্টি দোকানগুলোতে। আসলে বাংলার মিষ্টি, বাঙালিয়ানা সেই সঙ্গে বাংলার মেয়েকে চাওয়ার আহ্বানে যেন মিলেমিশে গিয়েছে সব। ভোট যুদ্ধে ফুটে উঠছে বাংলার সংস্কৃতি। একেবারে ষোলোআনা বাঙালিয়ানা।

[আরও পড়ুন: সপ্তাহান্তে ছুটির মেজাজ, ভোজনরসিকদের জন্য রইল ‘হ্যাপি আওয়ার্স’-এর সন্ধান]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup অলিম্পিক`২৪ toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার