বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Election) পর দেড় বছর দল কার্যত হাত-পা গুটিয়ে বসেছিল। বিরোধী দলের ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হয়েছে। সেই সুযোগের সদ্বব্যবহার করে জনসমর্থন বৃদ্ধি করেছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। কিছুটা হলেও বামেপন্থীরা বিরোধী পরিসরের শূন্যস্থান পূরণ করছে। বিজেপির সাধারণ সম্পাদক ও রাজ্যের পর্যবেক্ষকদের বৈঠকে বঙ্গ বিজেপি সম্পর্কে এমনই নেতিবাচক রিপোর্ট দিলেন বাংলার পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল (Sunil Bansal)।
বাংলার নেতৃত্ব নিজেদের চেয়ার ধরে রাখতে গিয়ে একের পর এক সরকার বিরোধী ইস্যু হাতছাড়া করেছে। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নজরদারিতে খামতি ছিল বলেও তিনি রিপোর্ট পেশ করেছেন বলে সূত্রের খবর। বাংলার মানুষের মন পেতে গেলে আন্দোলনের বিকল্প পথ নেই বলে তাঁর রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে। এমনটাই খবর সূত্র মারফত।বুধবার দিল্লিতে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক এবং রাজ্য পর্যবেক্ষকদের বৈঠক ছিল। বৈঠকে ডাকা হয় সব রাজ্যের পর্যবেক্ষকদের। বৈঠকে বঙ্গে সংগঠনের হাল সম্পর্কে বলতে গিয়ে পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল শীর্ষনেতৃত্বকে হতাশ করেন বলেই সূত্রের খবর।
[আরও পড়ুন: ‘গোলমাল করে নিযুক্তদের চাকরিও বহাল রাখতে চায় রাজ্য’, জানালেন শিক্ষামন্ত্রী]
জানা গিয়েছে, একমাস হয়েছে তিনি বাংলার দায়িত্ব নিয়েছেন। এর মধ্যেই দু’বার রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকও করেন। আলাদা আলাদা করে কথাও বলেন। বাংলার সংগঠনের অভিজ্ঞতা খুব সুখকর নয়। বাস্তবের সঙ্গে রাজ্য নেতৃত্বের কথায় ও কাজে ফারাক রয়েছে বলে বৈঠকে জানান তিনি। সূত্রের খবর, সাধারণ সম্পাদকদের স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলার ইতিহাস স্মরণ করিয়ে নয়া পর্যবেক্ষক জানান, বাংলায় আন্দোলন না করে ক্ষমতায় এসেছে এমন ইতিহাস নেই। সাতের দশকে বামেদের কংগ্রেস বিরোধী আন্দোলন ও পরবর্তীতে বামেদের (Left Front) বিরুদ্ধে আন্দোলন করেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) পরিবর্তন করেছেন। কিন্তু বিধানসভায় পরাজয়ের অন্যতম কারণ, সেই ইতিহাস বাংলায় বিজেপির (BJP) নেই। কেন্দ্রীয় সরকার ও সর্বভারতীয় সংগঠনের ওপর ভরসা করে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করা হয়।
[আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি: সাদা খাতা জমা দিয়েও প্রাপ্ত নম্বর ৫০-৫২! SSC-র নম্বর কারসাজিতে স্তম্ভিত বিচারপতি]
সংগঠনকে বুথ পর্যন্ত পৌঁছাতে না পারলে সংগঠন ধরে রাখা যাবে না। তার জন্য উপযুক্ত পরিকল্পনার প্রয়োজন রয়েছে। কীভাবে এই দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠা যায় তা নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। সংগঠন গুছিয়ে উঠতে সময় লাগবে বলে জানান তিনি। সেইসঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বঙ্গে বিজেপি যে নজরকাড়ার মতো জায়গায় নেই। সেই ইঙ্গিতও বৈঠকে সুনীল বনশলরা দিয়ে রেখেছেন বলে জানা গিয়েছে।