অর্ণব দাস, বারাকপুর: রাজ্যের ৪ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন (WB Bypolls)। কোভিড পরিস্থিতিতে যথাযথ নিয়ম মেনে, সুষ্ঠুভাবে ভোট করানো চ্যালেঞ্জ কমিশনের কাছে। তাই প্রতিটি কেন্দ্রেই বাড়তি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। স্পর্শকাতর খড়দহ (Khardah) কেন্দ্রে ২০ কোম্পানি বাহিনীর নজরদারিতে ভোটগ্রহণ চলছে সকাল ৭টা থেকে। কিন্তু ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর থেকেই রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে খড়দহে। বিজেপি (BJP) প্রার্থী জয় সাহাকে ঘিরে ‘গো-ব্যাক’ স্লোগান ওঠে। অন্যদিকে, তৃণমূলের (TMC) হেভিওয়েট প্রার্থী তথা রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে বুথে ঢুকতে বাধাদানের অভিযোগ উঠল। আর এসব ঘটনা ঘিরে দুই শিবিরে উত্তেজনার পারদ।
সকাল প্রায় ৮টা। খড়দহ বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ১৯২ নং বুথে ঢুকতে গেলে বিজেপি প্রার্থী জয় সাহাকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগের তির তৃণমূলের বিরুদ্ধেই। জয় সাহার অভিযোগ, ”বুথের সামনে তৃণমূলের লোকজন স্লোগান দিচ্ছিল, যা একেবারেই করা যায় না। আমি সেটাই বলতে গিয়েছিলাম। তখনই আমার দিকে তেড়ে আসে। গো ব্যাক বলে স্লোগান দিতে শুরু করে। আমি সব ঘটনা নির্বাচন কমিশনকে জানাব। এভাবে সুষ্ঠু ভোট হতে পারে না।” এরপর তিনি কমিশনে অভিযোগ জানাতেই রিপোর্ট তলব করেন নির্বাচন কমিশনের কর্তারা।
[আরও পড়ুন: জীবনতলায় মিলল অস্ত্র কারখানার হদিশ, গ্রিল কারখানার আড়ালে তৈরি হত গুলি ও বন্দুক]
অন্যদিকে, তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Sovandeb Chatterjee) ভোটকেন্দ্র কল্যাণনগর বিদ্যাপীঠে ঢুকতে গেলে তাঁকে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তাঁর কাছে প্রার্থীর পরিচয়পত্র থাকলেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা তাঁর অন্যান্য পরিচয়পত্রও দেখতে চান বলে অভিযোগ জানিয়েছেন শোভনদেব। সেখানে জওয়ান এবং ভোটকর্মীদের সঙ্গে বচসা হয় প্রার্থীর। পরে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে অভিযোগের সুরে বলেন, ”ভোটারদের কোভিড ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট দেখতে চাইছে নিরাপত্তা কর্মীরা। ওঁদের এই এক্তিয়ার নেই।” এভাবেই খড়দহের একাধিক জায়গায় ভোট ঘিরে সকাল থেকেই রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ল।