সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছুটির মুডে নেতারা, উপনির্বাচনের প্রস্তুতি সেভাবে শুরু হয়নি। তবে প্রার্থী ঘোষণার ক্ষেত্রে শাসকদল এবং বাম-কংগ্রেসকে টেক্কা দিল বিজেপি। রাজ্যের ৬ কেন্দ্রের উপনির্বাচনের জন্য প্রার্থী ঘোষণা করে দিল গেরুয়া শিবির।
নৈহাটি, হাড়োয়া, মেদিনীপুর, তালড্যাংরা, মাদারিহাট, সিতাই। এই রাজ্যের এই ছয় বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হওয়ার কথা আগামী ১৩ নভেম্বর। শাসকদলের একাধিপত্য ভাঙতে এবার উপনির্বাচনে স্থানীয় মুখে ভরসা রাখছে গেরুয়া শিবির। সিতাই কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন দীপক কুমার রায়, মাদারিহাটের প্রার্থী রাহুল লোহার, নৈহাটি থেকে রূপক মিত্র, হাড়োয়ায় বিমল দাস, মেদিনীপুরে শুভজিৎ রায় এবং তালড্যাংরায় অনন্যা রায় চৌধুরী গেরুয়া শিবিরের হয়ে ভোটে লড়বেন।
এবার যে ৬ কেন্দ্রে উপনির্বাচন হতে চলেছে সেগুলির মধ্যে আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাটই রয়েছে বিজেপির দখলে। বাকি ৫ কেন্দ্র রয়েছে তৃণমূলের দখলে। মাদারিহাটের বিধায়ক মনোজ টিগ্গা এবার আলিপুরদুয়ার লোকসভা আসন থেকে জিতে সাংসদ হয়েছেন। দখলে থাকা এই মাদারিহাট আসনটি এবার ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপি। পাশাপাশি অন্য দু-একটি আসন যদি তাদের হাতে আসে সেই লক্ষ্যও রয়েছে বিজেপির। মঙ্গলবার দলের সল্টলেক অফিসে বিজেপির একটি বৈঠক হয়েছে। সেখানে রাজ্য সাধারণ সম্পাদকদের পাশাপাশি ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা সুনীল বনসল, মঙ্গল পাণ্ডে, অমিত মালব্যরাও। বৈঠকে ঠিক হয়েছে, মেদিনীপুর ও নৈহাটি বিধানসভা আসনে জোরদার প্রচার চালাতে হবে। অন্যত্রও প্রচার চলবে। একটা সময় মেদিনীপুর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হিসাবে দিলীপ ঘোষের নাম শোনা যাচ্ছিল। তবে দলের শীর্ষস্থানের কোনও নেতাকে উপনির্বাচনে নামানো হল না।
আর জি কর কাণ্ডের পর রাজ্যে এটাই প্রথম নির্বাচন। এতেই বোঝা যাবে আর জি করের কতটা প্রভাব জনমানসে পড়েছে। বিজেপিও এই উপনির্বাচনকে লোকসভার ধাক্কা ভুলে ঘুরে দাঁড়ানোর মঞ্চ হিসাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করবে। আর জি কর ইস্যুতে আন্দোলনে বামেরা টেক্কা দিয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। ফলে আর জি কর ইস্যুতে গেরুয়া ভোটব্যাঙ্কে ভাঁটা পড়ছে কিনা সেটাও বোঝা যাবে।