দীপঙ্কর মণ্ডল: ক্রমশই রাজ্যে ভয়াবহ আকার ধারণ করছে করোনা (Coronavirus)। উৎসবের পর সংক্রমণ আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই আগে থেকেই অ্যাম্বুল্যান্স এবং হাসপাতালের বেডের পর্যাপ্ত বন্দোবস্ত রাখার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর। নবান্নের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে নিজে উপস্থিত না থাকলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টেলিফোনে আরও একবার পুজোয় মাস্কের আবশ্যকতার কথাও উল্লেখ করেন। এছাড়া সকলে মাস্ক পরছেন কিনা সেদিকে পুলিশ এবং জেলা প্রশাসনিক আধিকারিকদের নজর রাখার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
উৎসবের মরশুমে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। প্রতিদিন নিজেই নিজের রেকর্ড ভাঙছে দৈনিক সংক্রমণ। দৈনিক মৃত্যুতে দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে বাংলা। আবার পুজোর (Durga Puja 2020) সময়ে অসতর্ক হলেই সংক্রমণের গ্রাফ আরও ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার আশঙ্কাও এড়ানো যাচ্ছে না। তার ফলে প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিদের চিন্তার ভাঁজ ক্রমশ আরও চওড়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সোমবার নবান্নে একটি জরুরি ভারচুয়াল বৈঠক ডাকা হয়।
[আরও পড়ুন: সমস্ত পুজো প্যান্ডেলে দর্শক প্রবেশ নিষেধ, রায় কলকাতা হাই কোর্টের]
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, স্বাস্থ্যসচিব, রাজ্য নিরাপত্তা উপদেষ্টা, রাজ্য পুলিশের ডিজি, কলকাতার পুলিশ কমিশনার, কলকাতা ও হাওড়া কর্পোরেশনের কমিশনার, বিপর্যয় মোকাবিলা এবং অন্যান্য দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। এছাড়াও ছিলেন সকল জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, অন্যান্য পুলিশ কমিশনার ও জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। ভারচুয়াল ওই বৈঠকে পুজোর আগে রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি নিয়েই মূলত আলোচনা হয়। এছাড়াও বাংলার আইনশৃঙ্খলা, পুজো পরিচালনা এবং বিসর্জন সম্পর্কে বিস্তারিত কথাবার্তা হয়।
এদিনের এই বৈঠকে যদিও নিজে উপস্থিত ছিলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তবে টেলিফোনেই বৈঠকে যোগ দেন তিনি। পুজের সময় যাতে বাংলার প্রত্যেক মানুষ প্রয়োজনে অ্যাম্বুল্যান্স, হাসপাতালে বেড ও সবরকম সাহায্য পান, তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাছাড়া সকলকে পুজোয় ঠাকুর দেখার সময় মাস্ক (Mask) পরার কথাও বলেন তিনি। সকলে আদৌ মাস্ক পরছেন কিনা তা পুলিশ এবং জেলা প্রশাসনিক আধিকারিকদের সুনিশ্চিত করার নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।