নিরুফা খাতুন: বৃষ্টির হাত ধরে ফের কলকাতা তথা বঙ্গে ফিরল শীতের আমেজ। মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় হালকা বৃষ্টি হয়। ফলে বুধবার সকাল থেকেই ঠান্ডা অনুভূত হয়। বুধবারও উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলেই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।
এদিন সকালের দিকে শহরে হালকা কুয়াশা থাকলেও পরে আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে। সকালের মতোই সন্ধেয়ও শীতের আমেজ অনুভূত হবে। সকালে কলকাতার (Kolkata) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৩.৩ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৫৩ থেকে ৮৩ শতাংশ। এদিন সকালে কাকদ্বীপ, নামখানা, ডায়মন্ড হারবারে হালকা বৃষ্টি হয়। এদিন পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। উপকূল ও সংলগ্ন জেলাগুলি কুয়াশায় ঢাকবে।
[আরও পড়ুন: বঙ্গভবনে ঢুকে সিসিটিভি খুলেছে গুজরাট পুলিশ! শাহর মন্ত্রককে চিঠি দিতে চলেছে নবান্ন]
এদিন হাওয়া অফিস জানায়, আজ পাঁচ জেলায় হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের পার্বত্য এলাকায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। উত্তরবঙ্গে ঘন কুয়াশার দাপটও চলবে। উত্তরের কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে কুয়াশার প্রভাব বেশি থাকবে বলে খবর। যে কারণে দৃশ্যমানতা কোথাও কোথাও ৫০ মিটারে নেমে আসতে পারে। উত্তরবঙ্গে দিনের তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে কম থাকবে। এছাড়া কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতে দিনের তাপমাত্রা এতটাই কম থাকবে, যে শীতল দিনের পরিস্থিতি তৈরি হবে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে উচ্চচাপ বলয়ে তৈরি হয়েছে বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত। এর প্রভাবেই সাগর থেকে জলীয় বাষ্পে ঢুকছে। উলটোদিকে উত্তর-পশ্চিমের বাতাসের প্রভাবও থাকছে। এই কারণে পশ্চিমের দিকে জেলা-সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের কাছাকাছি থাকলেও উপকূলের জেলাগুলিতে জলীয় বাষ্পের কারণে কুয়াশা ও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে, দিল্লি, পাঞ্জাব, চণ্ডীগড়, হরিয়ানা-সহ উত্তর ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে চরম শৈত্যপ্রবাহ চলছে।