স্টাফ রিপোর্টার : উন্নয়নমূলক কাজের স্বীকৃতিতে আরও একটি নতুন পালক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। স্বীকৃত নামী স্কচ গ্রুপের নিরিখে ২০১৮ সালে দেশের সেরা রাজ্যের তকমা পেয়েছে বাংলা। স্কচ গ্রুপের রিপোর্টে বাংলার এক নম্বরের উপরেই রয়েছে মমতার ছবি। সেই অর্থে তাদের বিচারে দেশের সেরা মুখ্যমন্ত্রীও নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। প্রতি বছরই কেন্দ্রশাসিত—সহ সব রাজ্যের উন্নয়ন সূচক, কর্মসূচি, প্রকল্প ছাড়াও সুশাসনের বিচার করে একটি তালিকা তৈরি করে ওই সংস্থা। প্রতিটি রাজ্য এই স্বীকৃতি বা সম্মানের দিকে তাকিয়ে থাকে। বলা ভাল, রাজ্যগুলির একটি র্যাঙ্কিং তৈরি হয়। সেই র্যাঙ্কিং তাদের রিপোর্টে পেশ করে স্কচ গ্রুপ।
[শপথ নেওয়ার পরই দপ্তর বণ্টন, বড় দায়িত্ব পেলেন সুজিত-চন্দ্রিমা]
আগে প্রতি বছরই কোনও না কোনও প্রকল্পের জন্য স্কচ ফাউন্ডেশনের পুরস্কার পেয়েছে বাংলা। কন্যাশ্রী প্রকল্পের স্বীকৃতিও দেয় এই সংস্থা। তেমনই গতিধারা, মুক্তির আলো, বিদ্যুতের অ্যাপ সবক্ষেত্রেই উদ্ভাবনী কৃতিত্ব পেয়েছে বাংলা। শিক্ষাশ্রী, রূপশ্রী, সবুজসাথী, সমব্যথী বা ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান প্রকল্পকেও সম্মান জানানো হয়েছিল। এবার এই সব প্রকল্পেরই সম্মিলিত সম্মান পেল বাংলা। পাশাপাশি প্রশাসনে স্বচ্ছতা, গতি ও আইনের শাসনেও অনেক রাজ্যের তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে বাংলা।
স্কচ ফাউন্ডেশনের সম্মানকে মেনে নেয় অন্য রাজ্য। দেশে এই তালিকাকেই ইদানিং একমাত্র বিবেচ্য হিসাবে ধরে নেওয়া হয়। সব রাজ্যই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। ‘স্কচ স্টেট অফ গভর্ন্যান্স’ রিপোর্টেই মূল্যায়ন ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
রাজ্যের তালিকায় প্রথম নাম বাংলার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দ্বিতীয় স্থানে দুই প্রতিবেশী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু ও তেলেঙ্গানার কে চন্দ্রশেখর রাও। চতুর্থ স্থানে রাজস্থান ও পঞ্চম স্থানে গুজরাত। এরপর ছত্তিশগড় ও পাঞ্জাব। এরপরের স্থান যথাক্রমে মহারাষ্ট্র, কেরল, মধ্যপ্রদেশ, কর্নাটক, উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশা, হরিয়ানা, দিল্লি, ঝাড়খণ্ড, তামিলনাড়ু, অরুণাচল প্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ, বিহার ও মেঘালয়ের। গতবারের নবম স্থান থেকে একেবারে প্রথম স্থানে উঠে এসেছে বাংলা। অন্ধ্রপ্রদেশ ছিল দশমে। তেলেঙ্গানা অবশ্য দ্বিতীয় স্থান বজায় রেখেছে। রাজস্থান প্রথম থেকে চতুর্থে সরে গিয়েছে। বিজয় রোপানির নেতৃত্বাধীন গুজরাত অবশ্য ত্রয়োদশ থেকে পঞ্চমে উঠে এসেছে। দিল্লির স্থান একই রয়েছে।
[দলের রাজ্য ও জেলার পদাধিকারীদের লোকসভায় টিকিট দেবে না বিজেপি]
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাফল্যের বিষয়টিকে স্কচ রিপোর্টে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সব ধরনের বাধা সত্ত্বেও যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলা এক নম্বর স্থানে রয়েছে, তা অন্য দলগুলি বা মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে শিক্ষণীয় বিষয়। বলা হয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অবজ্ঞা করা যেতে পারে না। স্কচ গ্রুপ ১৯৯৭ সাল থেকে রাজ্যগুলির পারফরম্যান্সকে গুরুত্ব দেয়। প্রতিটি রাজ্যের দক্ষতার চুলচেরা বিশ্লেষণ ও সমীক্ষার পরই সেরার তকমা দেওয়া হয়।
The post মুখ্যমন্ত্রীর কাজের স্বীকৃতি, স্কচ পুরস্কারে সেরা রাজ্যের তকমা পেল বাংলা appeared first on Sangbad Pratidin.