স্টাফ রিপোর্টার: বসতিবাসী বা ঠিকা ভাড়াটিয়াদের বাড়ি তৈরিতে বাধা দূর হয়েছিল আগেই। এবার নবান্ন সিদ্ধান্ত নিল, তাঁদের ঋণ দেবে রাজ্য সরকার। বাংলার বাড়ি প্রকল্পে সহায়তা দেবে রাজ্য। কলকাতা ও হাওড়া পুরসভার অ্যাসেসমেন্ট রোলে নাম থাকলেই এই সুবিধা মিলবে। অর্থাৎ দুই কর্পোরেশন এলাকার বসতি অঞ্চলে প্রোমোটাররাজ যাতে থাবা না বসাতে পারে, আগেভাগে বড় সিদ্ধান্ত নিল নবান্ন।
[আরও পড়ুন: সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর, আগামী পুজোয় লম্বা ছুটি ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর]
এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে। নবান্নে ক্যাবিনেটের অনুমোদনের পর রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, ‘এই রাজ্য কিন্তু প্রোমোটারদের ঢুকতে দিল না। বরং ঘর করতে বাংলার বাড়ি প্রকল্পে সহায়তা দেবে রাজ্য। গরিব ও নিম্নবিত্তকে কলকাতা ছাড়তে দেবে না রাজ্য।’ ঠিক রয়েছে, অন্তত ২৮৫ বর্গ ফুট বাড়ি করা যাবে। মুম্বই ধারাভিতে ১৫ শতাংশ জমিতে প্রোমোটার ঘর করেছে। ১৫ শতাংশ বসতিবাসীদের জন্য উঁচু বাড়ি করে দেন প্রোমোটাররা।
ফিরহাদ স্পষ্ট বুঝিয়ে বলেন, ‘বিধানসভায় সংশোধনী নেওয়া হয়েছিল আগেই। বসতি উন্নয়ন করতে গেলে সংশোধনী দরকার ছিল। কলকাতা ও হাওড়ায় বেশি বসতি রয়েছে। কিন্তু, ভাড়াটিয়ারা ঘর করতে বা ঘর সংস্কার করতে ঋণ পান না এখন। এই প্রশ্নেই মন্ত্রীর বক্তব্য, ‘ঠিকা লিজি হতে হবে। এতে কলকাতা বা হাওড়া পুরসভায় আবেদন করতে পারবে। ভাড়াটিয়ারাও এতে এগোতে পারবে। ঠিকা টেন্যান্ট হিসেবে যাঁদের নাম নথিভুক্ত রয়েছে, তাঁরা ঠিকা লিজির মর্যাদা পাবেন।’
[আরও পড়ুন:প্রশ্নপত্রে উত্তরের ব্যবস্থা বাতিল, পুরনো নিয়মেই হবে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা]
মন্ত্রী উল্লেখ করেছেন, এর ফলে এঁরা এককালীন টাকা দিয়ে বাড়ি তৈরি করতে পারবেন। ঠিকা ভাড়াটিয়া থেকে লিজি ভাড়াটিয়ায় পরিবর্তন করতে পারবেন। বাড়ি সংস্কারের কাজ করতে হলে ভাড়াটিয়াকে সঙ্গে নিয়েই করতে হবে। বাড়ি সংস্কার বা নির্মাণও করা যাবে। তবে প্রোমোটারকে ডাকা চলবে না। অর্থাৎ নির্মাণকাজ করতে হবে নতুন বিল্ডিং আইন মেনেই।
The post বসতিবাসীদের জন্য সুখবর, বাড়ি তৈরিতে ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নবান্নের appeared first on Sangbad Pratidin.