সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ। মহারাষ্ট্র-সহ পাঁচ রাজ্যে মারমুখী চেহারা নিয়েছে করোনার দাপট। তাই সংক্রমণ ঠেকাতে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্য প্রশাসন। করোনাপ্রবণ চার রাজ্য থেকে আসা যাত্রীদের RT-PCR নেগেটিভ রিপোর্ট আনা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। আগামী শনিবার থেকে এই নিয়ম কার্যকর হবে।
[আরও পড়ুন: বিয়ের জন্য ‘ধর্মান্তকরণ’ করলেই শাস্তি! বিতর্কের মাঝেই উত্তরপ্রদেশে পাশ লাভ জেহাদ বিল]
দেশে কয়েকটা জায়গায় সংক্রমণ ঠেকাতে নাইট কারফিউ বলবৎ হয়েছে স্থানীয়ভাবে। এ সংক্রমণ ঠেকাতে প্রধানমন্ত্রী নিজেই বৈঠক করেছিলেন। আবার পশ্চিমবঙ্গে কলকাতা-সহ কয়েকটি কোভিড হাসপাতালে নতুন করে করোনা আক্রান্তরা ভরতি হচ্ছে। এসব দিক বিবেচনা করেই কেন্দ্রের নির্দেশ অনুযায়ী, জরুরি ভিত্তিতে বিমানবন্দরে RT-PCR পরীক্ষা করে নেগেটিভে রিপোর্ট যোগাড়ের নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রদপ্তর থেকে আদেশনামায় স্পষ্ট বলা হয়েছে মহারাষ্ট্র, কেরল, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক থেকে এই রাজ্যে যাঁরাই আসবেন তাঁদেরই আগেই এই পরীক্ষা করাতে হবে। শুধু বিমানবন্দর নয়, ট্রেনে আসা যাত্রীদের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম কঠোরভাবে বলবৎ হবে। আগামী শনিবার দুপুর ১২টা থেকেই কার্যকর হবে এই নির্দেশ। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রদপ্তরের এই নির্দেশ চলে গিয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তরেও। জরুরি ভিত্তিতে বিমানবন্দরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ‘রথের দড়িতে টান মানলেই খানখান হবে বিজেপি’, প্রচারে বিস্ফোরক অভিনেতা সোহম]
উল্লেখ্য, পরপর দু’দিন ঊর্ধ্বমুখী রাজ্যের কোভিডগ্রাফ। বেশ কিছুদিন পর বুধবার ২০০ পার করে দিল এ রাজ্যের দৈনিক করোনা (Corona Virus) আক্রান্তের সংখ্যা। বাড়ল মৃত্যুও। দু’দিন পর ফের করোনায় মৃত্যু হল কলকাতায়। সবমিলিয়ে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি ফের চিন্তা বাড়াচ্ছে রাজ্য প্রশাসনের।
এগিয়ে আসছে বিধানসভা নির্বাচন। ফলে রাজ্য জুড়ে মিটিং-মিছিল-সভা-জমায়েত চলছে লাগাতার। আর সেই সব জমায়েতে মাস্ক-সামাজিক দূরত্বের বালাই নেই। আর তার ‘ফলস্বরূপ’ ফের লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তরের বুধবার সন্ধের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় এ রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২০২ জন। ফলে এ রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৫ লক্ষ ৭৪ হাজার ৩০১ জন। একদিনে সর্বাধিক করোনা আক্রান্ত হয়েছে কলকাতা (৭৫)। এর পরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা (৪৩)। তবে উত্তরের আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জঙ্গলমহলের ঝাড়গ্রামে নতুন করে কোনও করোনা আক্রান্তের হদিশ মেলেনি। যা নিসন্দেহে স্বস্তি দেবে স্বাস্থ্যকর্তাদের।