দীপঙ্কর মণ্ডল: ‘আর্নিং উইথ লার্নিং। মূলত ইউরোপ-আমেরিকায় চালু রয়েছে এই ব্যবস্থা। বাংলার স্নাতক পড়ুয়াদের রাজ্য সরকার জন্য চালু করছে সেই ব্যবস্থা। সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পড়তেই সরকারি কাজে ইন্টার্ন করতে পারবেন ছাত্রছাত্রীরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বিধানসভায় নিজের ঘরে এদিন জানিয়েছেন, মূলত আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা পড়ুয়াদের জন্য এই উদ্যোগ।
রাজ্যের ব্লক ও পঞ্চায়েত-স্তরে কাজ করার উদ্দেশ্যেই মূলত তৈরি হচ্ছে ইন্টার্ন পদ। ভাতা দেওয়া হতে পারে পাঁচ হাজার টাকা। ইন্টার্ন করার পরে মিলবে শংসাপত্র। তা দেখিয়ে পরে ওই কাজে স্থায়ীকরনের কথা ভাববে সরকার। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, কাজের উৎকর্ষ খতিয়ে দেখে ইন্টার্নশিপের মেয়াদও বাড়তে পারে। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, প্রতি বছর ইন্টার্ন হিসাবে নিয়োগ হবে ৬ হাজার পড়ুয়া। নিয়োগ প্রক্রিয়ার দেখভাল করবে উচ্চশিক্ষা দপ্তর।
[আরও পড়ুন: নিয়ম ভেঙে প্রাইভেট টিউশন চালিয়ে বিপাকে, তদন্তের মুখে ৬১ জন প্রাথমিক শিক্ষক]
এর মাধ্যমে রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে জানবে পড়ুয়ারা। কোথায় কীভাবে এই সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়, তা তাঁরা শিখবেন হাতেকলমে। কোর্স শেষে মিলবে সার্টিফিকেট। পরে তাঁরা সেই সার্টিফিকেট কাজে লাগাতে পারবেন। উচ্চশিক্ষা এবং পরবর্তী চাকরি জীবনেও কাজে লাগবে এই সার্টিফিকেট। উন্নততর মানুষ গড়ার লক্ষ্যেই নতুন এই প্রকল্প চালু করছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন, স্নাতকস্তরে ইন্টার্ন হতে হলে নূনতম ৬০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। জানা গিয়েছে, উচ্চশিক্ষা দপ্তর দ্রুত এ বিষয়ে নির্দেশিকা প্রকাশ করবে।
উল্লেখ্য, এদিন সিদ্ধান্ত হয়েছে, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যও হবেন মুখ্যমন্ত্রী। উচ্চশিক্ষা ছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন দপ্তরের অধীনে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। কৃষি, স্বাস্থ্য, প্রাণী বিজ্ঞানের সিদ্ধান্ত আগেই হয়েছে। এদিন সংখ্যালঘু ও মাদ্রাসা উন্নয়ন দপ্তরের অধীন আলিয়ার আচার্য পদ থেকেও রাজ্যপালকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আনার বিষয়ে সম্মতি দেয় মন্ত্রিসভা। পাশাপাশি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকে ভরতিতে কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইন প্রক্রিয়া চালু নিয়েও এদিন সায় দেয় মন্ত্রিসভা।