shono
Advertisement

‘দুয়ারে সরকার’এবার সত্যিই গৃহস্থের দরজায়, বাড়ি গিয়ে ‘স্বাস্থ্যসাথী’র ফর্ম বিলির নির্দেশ

সরকারি শিবিরে অতিরিক্ত ভিড় এড়াতে এই নির্দেশ দিলেন মুখ্যসচিব।
Posted: 03:00 PM Dec 07, 2020Updated: 03:05 PM Dec 07, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প সফল করতে আরও এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। সরকারি পরিষেবা প্রদানকারী শিবিরগুলিতে ভিড় এড়াতে এবার ঘরে ঘরে গিয়ে ‘স্বাস্থ্যসাথী’ (Swasthya Sathi) প্রকল্পের ফর্ম বিলি করবেন সরকারি কর্মীরা। নবান্ন থেকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘দুয়ারে সরকার’ এবার সত্যিই গৃহস্থের দরজায়।

Advertisement

এক সপ্তাহ হলো নাগরিক পরিষেবায় রাজ্য সরকারের নবতম কর্মসূচি ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প শুরু হয়েছে। এর মধ্যেই ব্যাপক সাড়া পড়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সরকারি শিবিরগুলিতে প্রথম দিন থেকেই লম্বা লাইন। ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্প রাজ্যের প্রত্যেক পরিবারের জন্য ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাজ্যের সরকারি, বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসার খরচ ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যাবে এই ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ডে। পরিবারের প্রবীণা সদস্যের নামে হবে কার্ড। ফলে এই মুহূর্তে ‘স্বাস্থ্যসাথী’র চাহিদাই সবচেয়ে বেশি। এছাড়া ‘খাদ্যসাথী’ ও ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পের জন্যও লাইন দীর্ঘ হচ্ছে। সরকারি সূত্রে খবর, এক সপ্তাহের মধ্যেই ২২ লক্ষ মানুষ বিভিন্ন পরিষেবার জন্য আবেদন জানিয়েছেন ক্যাম্পগুলিতে।

[আরও পড়ুন: শুভেন্দুর পর রাজীব, বনমন্ত্রীর অনুগামীদের পোস্টারে ছয়লাপ হাওড়া]

তবে এই প্রকল্পের যতটা সাড়া পড়বে বলে ভাবা হয়েছিল, প্রথম থেকে তার চেয়ে অনেকটাই বেশি চাহিদা দেখা গিয়েছে জনসাধারণের মধ্যে। যাকে ‘দুয়ারে সরকার’-এর প্রাথমিক সাফল্য বলেই মনে করছে রাজ্য সরকার। তাই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই শিবির আরও বাড়ানো হয়েছে। তবে করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিবির চালানোর দিকেও নজর রেখেছে প্রশাসন। তাই এবার চাহিদার শীর্ষে থাকা ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পের ফর্ম বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিলি করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। যাতে ফর্ম নেওয়ার জন্য দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়াতে না হয়, তার জন্য এই ব্যবস্থার কথা জানিয়েছেন মুখ্যসচিব। সেই ফর্ম ফিলাপ করার পর অবশ্য সমস্ত নথিপত্র নিয়ে ক্যাম্পে গিয়েই জমা দিতে হবে।

[আরও পড়ুন: করোনাজয়ী হয়েই নিচ্ছেন নতুন চ্যালেঞ্জ, এবার ডক্টরেট করবেন নির্মল মাজি]

এছাড়া অনলাইনেও ফর্ম পাওয়া যাচ্ছে। শিবিরে না গিয়ে ডিজিটাল মাধ্যমেও আবেদন করা যাবে। জানা গিয়েছে, খুব শিগগিরই এই বাড়ি বাড়ি গিয়ে ‘স্বাস্থ্যসাথী’র আবেদনপত্র বিলির কাজ শুরু হবে। আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে ‘দুয়ারে সরকার’। তার মধ্যে রাজ্যের প্রত্যেক পরিবারের কাছে যেন ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ড পৌঁছয়, কর্মীদের সেই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও এই প্রকল্পকে নিতান্তই ‘ভোটের চাল’ বলে কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরা। তবে রোজ রোজ সরকারি ক্যাম্পের ভিড়ই বুঝিয়ে দিচ্ছে, ভোটের চাল হোক বা না হোক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের উপর এখনও ভরসা রাখছেন রাজ্যের সাধারণ মানুষ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement