বিক্রম রায়, কোচবিহার: বাড়িতে পুরোপুরি পড়াশোনারই পরিবেশ। বাবা পঙ্কজকুমার দেবনাথ কোচবিহার কলেজের অধ্যক্ষ। মা সীমা দেবনাথ পণ্ডিত দিনহাটা হাই স্কুলের ইংরাজির শিক্ষিকা। আর মেয়ে? মাধ্যমিকে প্রথম স্থান অধিকার করে সংবাদের শিরোনামে। সঞ্জীবনী দেবনাথ। এই নামই এখন টেলিভিশনের শিরোনামে উঠে এসেছে।

ঠিক সকাল ন’টায় শুরু হয় মাধ্যমিকের ফল ঘোষণা। বেশ খানিকটা পরে সঞ্জীবনীর নাম জানা যায়। খবর চাউর হতে বেশি সময় লাগেনি। মাধ্যমিকের সেরার বাড়িতে চলে পৌঁছে যায় সংবাদমাধ্যম। আশেপাশের বাড়ি, আত্মীয়স্বজনের তরফ থেকে আসতে শুরু করে শুভেচ্ছা। চলে মিষ্টি খাওয়ার পালা। বরাবরই মেধাবী সুনীতি অ্যাকাডেমির ছাত্রী। মাধ্যমিকে প্রথম দশের মধ্যে যে থাকবে তা জানাই ছিল। কিন্তু একেবারে প্রথম স্থান অধিকার সে যে করবে, তা সঞ্জীবনী নিজেও ভাবতে পারেনি।
[কমল পাশের হার, মাধ্যমিকে কলকাতাকে পিছনে ফেলে দাপট জেলার]
ভাল ফল করতে কেমন প্রস্তুতি নিয়েছিল কোচবিহারের কন্যা? দিনে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা পড়াশোনা করত সঞ্জীবনী। সাতজন গৃহশিক্ষক ছিল তার। তবে সবথেকে বেশি ভরসা সে রেখেছিল টেক্সট বইয়ের উপর। সেটাই ভাল করে পড়েছিল। পড়াশোনার বাইরে গান করতে বেশ ভালবাসে সঞ্জীবনী। নবম শ্রেণি পর্যন্ত গানও শিখেছে সে। কিন্তু মাধ্যমিকের প্রস্তুতির জন্য তা ছেড়ে দিয়েছিল। অবশ্য এ ত্যাগের ফল হাতেনাতে মিলেছে। গল্পের বইও পড়তে ভালবাসে সঞ্জীবনী। প্রিয় লেখক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়। পছন্দ করে টিভি দেখতেও।
কোচবিহারের সুনীতি অ্যাকাডেমি থেকেই সফল হয়েছে আরও এক ছাত্রী। তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে ময়ূরাক্ষী সরকার। রবীন্দ্র নগরের বাসিন্দা ময়ূরাক্ষী। সঞ্জীবনীরই বেস্ট ফ্রেন্ড। তাই সাফল্যের আনন্দ আজ প্রায় দ্বিগুণ সঞ্জীবনীর। ভবিষ্যতে ডাক্তার হতে চায় মেধাবী পড়ুয়া। কেবল সঞ্জীবনী নয় মাধ্যমিকে যাঁরা সাফল্য পেয়েছে, প্রত্যেককে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ছবি ও ভিডিও: দেবাশিস বিশ্বাস
[ভুয়ো রেজিস্ট্রেশনে রমরমিয়ে ব্যবসা, নদিয়ায় পুলিশের ফাঁদে জাল ডাক্তার]
The post টেক্সট বই পড়েই সাফল্য, মাধ্যমিকে প্রথম হয়ে উচ্ছ্বসিত কোচবিহারের সঞ্জীবনী appeared first on Sangbad Pratidin.