শাহজাদ হোসেন, ফরাক্কা: উৎসবের আনন্দের মাঝেই চওড়া হাসি ফুটল ফরাক্কার এক যুবকের মুখে। কারণ লটারির টিকিট কেটে একেবারে এক কোটি টাকা জিতলেন তিনি। যাকে বলে রাতারাতি ভাগ্যবদল।
শুক্রবার সন্ধ্যায় এক কোটি টাকার টিকিট মিলতেই আনন্দে উচ্ছ্বসিত ফরাক্কার শ্রীরামপুর এলাকার যুবক নবাব শরিফ খান। তবে আনন্দের সঙ্গে তাঁর জীবনে নেমে এসেছে আতঙ্কও। হঠাৎ এত টাকা পেয়ে কার্যত থানার দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, শ্রীরামপুর এলাকার যুবক নবাব শরিফ খান নিজেও পেশায় একজন লটারি বিক্রেতা। সম্প্রতি অন্যান্য সমস্ত টিকিট বিক্রি করলেও তিনি একটি টিকিট কেটেছিলেন নিজে। তাতেই ভাগ্য খুলে যায় তাঁর। লটারির টিকিট বিক্রি করে সাধারণ মানুষের ভাগ্য ফেরানোর পেশায় যুক্ত ব্যক্তির প্রতিই এবার সহায় লক্ষ্মীদেবী।
[আরও পড়ুন: কানপুরে ব্যবসায়ীর বাড়িতে আয়কর হানায় উদ্ধার রাশি রাশি টাকা, ২৪ ঘণ্টা ধরে গুনলেন আধিকারিকরা]
তাঁর টিকিটেই যে এক কোটি টাকা বেঁধেছে, তা যেন প্রথমে বিশ্বাসই হচ্ছিল না নবাবের। কোটি টাকা জয়ের আনন্দে উল্লসিত হয়ে ওঠেন তিনি। লটারিতে এক কোটি পাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তে নবাবের বাড়িতে ভিড় জমান প্রতিবেশীরা। তবে একসঙ্গে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ কীভাবে সুরক্ষিত রাখবেন, তা ভেবে আকুল নবাব। তাঁর অর্থের উপর যে অনেকেরই নজর পড়তে পারে, সে আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না। আর সেই কারণেই আজ, শনিবার সকালে লটারি নিয়ে সোজা ফরাক্কা থানায় পৌঁছান নবাব। পুলিশকে গোটা বিষয়টি জানিয়ে রাখেন তিনি।
এর আগেও দেখা গিয়েছে, লটারি কেটে রাতারাতি ভাগ্যবদলের পর ভয়ে ভয়ে স্থানীয় থানার দ্বারস্থ হয়েছেন জয়ীরা। ফরাক্কার যুবকও একই পথে হাঁটলেন। তবে বছর শেষে উৎসবের মরশুমে লক্ষ্মী ঘরে আসায় খুশি গোটা পরিবার।