ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় ও কৃষ্ণকুমার দাস: করোনা আক্রান্ত রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি। তাঁকে ভরতি করা হয়েছে দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি করোনা আক্রান্ত হন তিনি। এতদিন তাঁকে রাখা হয়েছিল হোম আইসোলেশনই। গতকাল রাত থেকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালে স্থানান্তরিত করতে হয়েছে তাঁকে। সূত্রের খবর, মন্ত্রীর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছে। শরীর খুব দুর্বল। জ্বর এবং গায়ে ব্যথা রয়েছে। ইতিমধ্যেই তাঁর খোঁজখবর নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পরিবার সূত্রের খবর, মন্ত্রীর স্লিপ ডিস্ক এর সমস্যা ছিল। সেজন্য গত ১৭ ফেব্রুয়ারি তিনি এসএসকেএম যান একটি ইনজেকশন নেওয়ার জন্য। তার একদিন পর থেকেই করোনার উপসর্গ দেখা যায় মন্ত্রীর শরীরে। ১৮ তারিখ তাঁর করোনা পরীক্ষা করানো হয়। মন্ত্রীর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তারপর থেকে ভবানীপুরের রূপনারায়ণ নন্দন লেনের বাড়িতেই ছিলেন মন্ত্রী। শোভনবাবুর শরীরে করোনার মৃদু উপসর্গ থাকলেও শ্বাসকষ্টের কোনও সমস্যা ছিল না তাঁর। শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণও স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু গতকাল রাতে নতুন করে জ্বর আসে তাঁর। আজ সকাল থেকে শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। তাঁর শারীরিক সমস্যা বাড়তে থাকে। যার জেরে আজ সাড়ে ১২ টা নাগাদ তাঁকে দক্ষিণ কলকাতার হাসপাতালে ভরতি করা হয়। হাসপাতালের সিইও ডাঃ রূপালি বসু জানিয়েছেন, শোভনদেব বাবুর চিকিৎসায় মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হচ্ছে। তবে এখনই উদ্বেগের কোনও কারণ নেই।
[আরও পড়ুন: ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরেই পামেলাকে ফাঁসিয়েছেন রাকেশ? প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য]
করোনা কালে রাজ্যের সব প্রবীণ মন্ত্রীকেই নিজেদের বাড়িতে থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই মতো ৭৭ বছর বয়সী বিদ্যুৎমন্ত্রী বেশ কিছুদিন নিজের বাড়িতেই ছিলেন। তবে, সম্প্রতি করোনার (Coronavirus) দাপট খানিকটা কমার ইঙ্গিত মিলতেই ফের রাজনৈতিক এবং সরকারি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। গত মঙ্গলবার সরস্বতী পুজোর দিনও প্রচুর মানুষের সংস্পর্শে আসেন তিনি। নিজের বাড়ির পাশাপাশি পুজো করেন তৃণমূল ভবনেও। সেদিন রাত থেকেই শোভনবাবুর অসুস্থতা শুরু হয়। বুধবার করোনা পরীক্ষা করান তিনি।