স্টাফ রিপোর্টার: দক্ষিণবঙ্গের কিছু জেলায় পঞ্চায়েত ভোটের ফল নিয়ে সন্তোষজনক রিপোর্ট হলেও উত্তরবঙ্গে ফল ভাল হয়নি। সেখানে সর্বত্রই দ্বিতীয় স্থানে বিজেপি। একুশের বিধানসভা ভোটের তুলনায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিপিএমের ভোট বাড়লেও উত্তরবঙ্গে তার প্রতিফলন নেই। পঞ্চায়েত ভোটের (West Bengal Panchayat Elections 2023) ফলাফল বিশ্লেষণ নিয়ে সিপিএমের রাজ্য কমিটির বৈঠকের আলোচনায় এমনটাই উঠে এসেছে বলে খবর।
আলিমুদ্দিনে মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে সিপিএমের দু’দিনের রাজ্য কমিটির বৈঠক। একুশের ভোটে সিপিএম-কংগ্রেস-আইএসএফের মিলিত ভোট ছিল ১০ শতাংশ। এবার জোটের ভোট বেড়ে ২১ শতাংশ হয়েছে। এই ফল অবশ্য দক্ষিণবঙ্গের কিছু জেলার ক্ষেত্রে হয়েছে। এদিনের বৈঠকে পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, দুই ২৪পরগনা, নদিয়া ও মুর্শিবাদের পার্টি নেতারা রিপোর্ট দেন পঞ্চায়েতে ফল ভাল হয়েছে বলে। বিজেপির (BJP) ভোট কমায় সন্তুষ্ট রাজ্য নেতারা। অন্যদিকে, কিছুটা উলটো চিত্র উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে। সেখানে বিজেপির সঙ্গে লড়াই করে তৃতীয় হতে হয়েছে সিপিএমকে (CPIM)।
[আরও পড়ুন: ‘ওপেনহাইমার’ নিয়ে শোরগোল! গীতপাঠের বিতর্কিত দৃশ্যকে সমর্থন মহাভারতের ‘কৃষ্ণ’ নীতিশের]
আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি জেলার নেতারা রিপোর্ট দেন, দক্ষিণবঙ্গের প্রতিফলন উত্তরবঙ্গে হয়নি। একইসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে ও জাতীয় স্তরে দলের দ্বিমুখী অবস্থান নিয়েও এদিন রাজ্য কমিটির বৈঠকে ব্যাখ্যা দিতে হয় সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমকে (Mohammad Selim)। রাজ্যে অন্ধ তৃণমূল বিরোধিতা। অন্যদিকে, জাতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধী দলগুলির মহাজোটে তৃণমূলের সঙ্গে রয়েছে সিপিএম। পার্টির এই দ্বিমুখী অবস্থান নিয়ে এবার নিচুতলার প্রশ্নের মুখে আলিমুদ্দিন। রাজ্যে একরকম অবস্থান আবার কেন্দ্রীয় স্তরে অন্যরকম কেন? সাধারণ মানুষকে কীভাবে বোঝাবে, এই প্রশ্ন তুলে সিপিএমের নিচুতলার নেতা-কর্মীরা কার্যত বিভ্রান্ত।
[আরও পড়ুন: ‘পা চেটে মহানায়ক?’, কটাক্ষ ধেয়ে আসতেই অঙ্কুশ বললেন, ‘আমার মতো সামান্য নায়ককে…’]
সেই প্রসঙ্গেই মহম্মদ সেলিম এদিন বৈঠকের শুরুতেই বলেন, “জাতীয় স্তরে বিরোধী ঐক্য হয়েছে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করতেই। কিন্তু এটা নিয়ে বিজেপির তরফে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। সেদিকে কেউ পা দেবেন না।” বৈঠকে দলের জেলা সম্পাদকরা দলের এই দ্বিমুখী অবস্থান নিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে পার্টির বক্তব্য কী হবে তা এদিন স্পষ্ট করে দেন সেলিম।