নব্যেন্দু হাজরা: জ্বালানির দাম যে রেটে বাড়ছে তাতে বিকল্প উপায়ে বাস (Bus) চালানো ছাড়া উপায় নেই। তাই সরকারির পাশাপাশি বেসরকারি বাসকেও ডিজেল ইঞ্জিন থেকে সিএনজিতে রূপান্তরিত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আর তা করতে সরকারের তরফে বেসরকারি বাস মালিকদের জন্য প্যাকেজও রাখা হবে। শনিবার বাসমালিকদের সঙ্গে পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বৈঠক থেকে তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে। তবে গোটা বিষয়টিই এখন আলোচনার স্তরে আছে।
সিএনজিতে কনভার্ট করার কত শতাংশ খরচ রাজ্য দেবে বা কী হবে তা নিয়ে আগামী ১৭ নভেম্বর ফের পরিবহণমন্ত্রী বাসমালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। যে সংস্থা সিএনজিতে এই রূপান্তর করবে বাসগুলিকে তারাও থাকবে সেই বৈঠকে। পরীক্ষামূলকভাবে যে দু’টি বাসকে ডিজেল থেকে সিএনজিতে রূপান্তরিত করা হয়েছি, সেই দুটি বেশ ভালো পরিষেবা দেওয়াতেই সরকারের তরফে এই পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ‘দিদি ও দিদি’র থেকে বেশি ক্ষতি ‘বারমুডা’ মন্তব্যে! মোদি-দিলীপকে একযোগে আক্রমণ তথাগতর]
এদিন কসবায় পরিবহণ ভবন-২ তে বৈঠক শেষে বেড়িয়ে ফিরহাদ বলেন, “এখনই বাসের ভাড়া বাড়ানো সম্ভব নয়। ভাড়া বাড়ালে মানুষের উপর চাপ বাড়বে। বদলে আমরা বিকল্প উপায়ে বাস চালাতে চাইছি। কেন্দ্র তেলের দাম বাড়িয়ে যাবে, আর রাজ্য ভাড়া বাড়াবে এটা কোনও সমাধান নয়। তাই ডিজেল বাসকে সিএনজিতে রূপান্তরিত করার পরিকল্পনা চলছে। খুব শীঘ্রই গোটা বিষয়টা জানানো হবে।”
এদিকে যেহারে জ্বালানির দাম বাড়ছে তাতে সমস্যায় পড়ছে সরকারি নিগমগুলোও। তাই পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগমের ৩০০টি এবং এসবিএসটিসির ১০০টি বাস ডিজেল ইঞ্জিন থেকে সিএনজিতে রূপান্তরিত করা হবে। তাতে নিগমের অনেকটা সাশ্রয় হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বিশেষজ্ঞ কমিটির সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। এদিন এবিষয়ে পরিবহণসচিব নিগমের অন্যান্য কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও করেন। সেখানেই ঠিক হয় কোন নিগম কতগুলো বাস সিএনজিতে রূপান্তরিত করবে। পরিবহণমন্ত্রী এদিন জানিয়ে দেন, ভাড়া কোনওভাবেই এখন বাড়ছে না। সরকার সকলের কথা ভাবছে। আশা করা যায়, খুব দ্রুতই একটা সমাধানসূত্র বেরোবে। সূত্রের খবর, একটি বাসকে ডিজেল ইঞ্জিন থেকে সিএনজিতে রূপান্তরিত করতে লাখ পাঁচেক টাকা খরচ হতে পারে।
[আরও পড়ুন: দীপাবলিতে ফাটানো যাবে বাজি, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সায় কলকাতা হাই কোর্টের]
বেসরকারি বাসমালিকরাও সরকারের এই প্রচেষ্টাকে ভালোভাবেই গ্রহণ করছেন। এদিন বৈঠক শেষে বেরিয়ে ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস-মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপনারায়ণ বোস বলেন, “পরিবহণমন্ত্রী কিছুদিন ধৈর্য্য ধরতে বলেছে। আশা করা যায় কিছু একটা সুরাহা বেরোবে। আমরাও চাই সিএনজিতে বাস চলুক। জ্বালানির খরচ কমুক।”