সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচনী আবহে প্রতিদিনই মিটিং-মিছিল জনসভায় ভিড় জমাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। তার মধ্যে করোনা সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণে রাখা রীতিমতো চ্যালেঞ্জিং বিষয়। তবে রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে সোমবারের তুলনায় মঙ্গলবার করোনা সংক্রমণের সংখ্যা অনেকটাই কম। যদিও সুস্থতার হার অপরিবর্তিতই রয়েছে।
এদিন স্বাস্থ্যদপ্তরের দেওয়া বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার (Corona Virus) কবলে পড়েছেন ১৮৮ জন। যার মধ্যে শহর কলকাতায় একদিকে আক্রান্ত ৬৬ জন। প্রত্যাশিতভাবেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। একদিনে সেখানে ৫০ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের হদিশ মিলেছে। ফলে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হল ৫ লক্ষ ৭৭ হাজার ২৬ জন। যদিও প্রতিদিনের মতো এদিনও খানিকটা কমল অ্যাকটিভ কেস। বর্তমানে করোনায় চিকিৎসাধীন ৩ হাজার ১৪৪। তবে এই ভাইরাস এখনও কেড়ে চলেছে মানুষের প্রাণ। গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় করোনার বলি ১জন। মৃত কলকাতার। অন্যান্য জেলার এদিন করোনায় কারও প্রাণ যায়নি। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে কোভিড-১৯-এ প্রাণ হারিয়েছেন ১০ হাজার ২৮১ জন।
[আরও পড়ুন: ঘরের মেয়ে মমতা, নন্দীগ্রামের দোকানে নিজের হাতে চা বানালেন মুখ্যমন্ত্রী]
তবে করোনা ভাইরাস সঙ্গে লড়াইয়ে ভরসা জোগাচ্ছেন কোভিডজয়ীরাই। গত ২৪ ঘণ্টাতেই যেমন সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৯৮ জন। এ নিয়ে মোট ৫ লক্ষ ৬৩ হাজার ৬০১ জন করোনাজয়ী। টিকাকরণের পাশাপাশি সমান তালে চলছে টেস্টিংও। এখনও পর্যন্ত মোট ৮৭ লক্ষ ৩০ হাজার ৫০৩টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে রাজ্যে। যার মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় করোনা টেস্ট হয়েছে ১৭ হাজার ২৩৮ জনের।
অতিমারীর বিরুদ্ধে লড়াই শেষের পথে দেশ। রবিবারই একথা জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। তিনি জানান, ভারতের হাতে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন রয়েছে। তাছাড়া দ্বিতীয় পর্যায়ে দ্রুত গতিতে চলছে টিকাকরণের প্রক্রিয়া। বাংলাতেও ভ্যাকসিন নিচ্ছেন ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিরা। ৪৫ বছরের উপর যাঁদের কো-মর্বিডিটি রয়েছে, তাঁরাও ভ্যাকসিন পাচ্ছেন এই পর্বে। তবে সংক্রমণ ঠেকাতে এখনও মাস্ক পরা কিংবা স্যানিটাইজার ব্যবহারের মতো অভ্যাসগুলি চালু রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।