ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: আশঙ্কা বাড়িয়ে ফের বাড়ল রাজ্যের করোনা (Coronavirus) সংক্রমণ। প্রাণ গিয়েছে ৫ জনের। পজিটিভিটি রেটও বাড়ল কিছুটা।
রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা রাজ্যজুড়ে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৬৭ জন। সংক্রমণের শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৯৩ জন। তারপরই রয়েছে কলকাতা। সেখানে ৬৫৩ জনের শরীরে মিলেছে ভাইরাসের হদিশ। ২৪৯ জন করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে বীরভূম। সংক্রমণের নিরিখে একশোর গণ্ডি পেরিয়েছে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর। একশো ছুঁইছুঁই দার্জিলিং এবং মালদহের করোনা সংক্রমণ। হাওড়া, পুরুলিয়া, দক্ষিণ দিনাজপুর করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা একশোরও কম।
[আরও পড়ুন: ললিত মোদির সঙ্গে প্রেম নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন সুস্মিতা, কী ‘সাফাই’ অভিনেত্রীর?]
জেলাওয়াড়ি সংক্রমণের নিরিখে একেবারে শেষের দিকে উত্তর দিনাজপুর, কোচবিহার, বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব মেদিনীপুর, আলিপুরদুয়ার। কারণ, এই ছ’টি জেলায় সংক্রমণ চল্লিশেরও কম। ঝাড়গ্রাম এবং কালিম্পংয়ে সংক্রমণ নামমাত্রই বলা চলে। বর্তমানে পজিটিভ কেস ২০ লক্ষ ৬৫ হাজার ৩৬০। যা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে প্রায় সকলের। শুক্রবার করোনা প্রাণ কেড়েছে ৫ জনের। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ২১ হাজার ২৬৫ জন মারণ ভাইরাসের বলি। মৃত্যুহার ১.০৩ শতাংশ।
ঊর্ধ্বমুখী কোভিড গ্রাফ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে সকলের। তবে এই পরিস্থিতিতে স্বস্তি জোগাচ্ছে সুস্থতা। কারণ, করোনাকে হারিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৮৭৫ জন। যা বৃহস্পতিবারের তুলনায় কিছুটা বেশি। এখনও পর্যন্ত কোভিডজয়ীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২০ লক্ষ ১৪ হাজার ৫২ জন। সুস্থতার হার ৯৭.৫২ শতাংশ।
করোনাকে রোখার হাতিয়ার হিসাবে টেস্টিংয়ের উপরেই জোর দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। শুক্রবার ১৫ হাজার ৬৯৯টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোট ২ কোটি ৫৭ লক্ষ ৬৬ হাজার ২৮৫টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। পজিটিভিটি রেট ১৯.৫৪ শতাংশ। টিকাকরণের উপরেও দেওয়া হয়েছে বিশেষ নজর। এদিন ৯১ হাজার ৮৯৭ ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। প্রিকশন ডোজ দেওয়া হয়েছে ৪ কোটি ৩৯ লক্ষ ৪৮ হাজার ৩৫। করোনার বাড়বাড়ন্ত রুখতে আরও সাবধানী হওয়ার বার্তা চিকিৎসকদের। মাস্ক এবং স্যানিটাইজার ব্যবহারে পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।