নব্যেন্দু হাজরা: পর পর দুর্ঘটনা, বেপরোয়া গতির গাড়িতে প্রাণহানি। নগর জীবনের দ্রুততার সঙ্গে শহর কলকাতায় এসব ঘটনা ঘটছে আকছার। পথ নিরাপত্তায় জোর দিয়ে তা রুখতে বৃহস্পতিবার পরিবহণ দপ্তরে জরুরি বৈঠক সেরেছেন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী, মেয়র ফিরহাদ হাকিমরা। এবার দুর্ঘটনা থেকে মাথা বাঁচাতে হেলমেট নিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য সরকার। এনিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে পরিবহণ দপ্তরের তরফে। তাতে স্পষ্ট উল্লেখ, যেমন তেমন হেলমেট নয়, নির্দিষ্ট মানদণ্ডের হেলমেটই পরতে হবে বাইক সওয়ারিদের। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডসের পরামর্শ অনুযায়ী, Indian standard 4151:2015 - এই হেলমেট পরতে হবে।
দুচাকার সওয়ারি মানেই মাথায় হেলমেট একপ্রকার বাধ্যতামূলক। যিনি চালাচ্ছেন আর যাঁরা সওয়ার হয়েছেন, সকলেই সুরক্ষার জন্য হেলমেট পরেন। চার বছরের উর্ধ্বে ছোটদেরও তা পরানো হয়। সাধারণ পথ নিরাপত্তার স্বার্থে এই নিয়ম থাকলেও শহরতলির বহু জায়গায় দেখা যায়, হেলমেট ছাড়া দিব্যি তিন-চারজন মিলে একটি বাইকে চড়ে যাচ্ছেন। দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে অধিকাংশ সময় দেখা যায়, হেলমেটহীন বাইক আরোহীরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রাণহানির শিকার হচ্ছেন।
এবার থেকে দুর্ঘটনায় মাথা বাঁচাতে হেলমেটের নির্দিষ্ট মান ঠিক করে দিল রাজ্য সরকার। পরিবহণ দপ্তরের তরফে মোটর ভেহিক্যালসের নিয়মের কথা উল্লেখ করে সদ্যই বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, দু চাকার সওয়ারিদের ওই নির্দিষ্ট হেলমেটই পরতে হবে। তা হল, Indian standard 4151:2015.অবিলম্বে তা লাগু হবে রাজ্যের সর্বত্র। দু চাকার সওয়ারিরা এই নির্দিষ্ট মানদণ্ডযুক্ত হেলমেট না পরলে রাজ্য সরকার কড়া ব্যবস্থা নেবে বলেও জানানো হয়েছে। এনিয়ে রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, ''এই নির্দিষ্ট মানদণ্ডের হেলমেটগুলি পরলে দুর্ঘটনায় প্রাণহানির আশঙ্কা কমবে। সবাই তা ব্যবহার করছেন কি না, তা দেখতে পথ নিরাপত্তায় এবার থেকে নজরদারি আরও বাড়ানো হবে।''