সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার বছরেও বেনজির অর্থনৈতিক সাফল্য বাংলার। মাথাপিছু আয়বৃদ্ধিতে দেশের মধ্যে সেরা নির্বাচিত হয়েছে এ রাজ্য। শুক্রবার রিজার্ভ ব্যাংকের (Reserve Bank) দেওয়া তথ্য তুলে ধরে এমনটাই দাবি করেছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র (Amit Mitra)। এর আগে জিডিপি বৃদ্ধির নিরিখেও দেশের সেরা রাজ্যগুলির মধ্যে একটি নির্বাচিত হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ। করোনার বছরে রাজ্যের এই জোড়া সাফল্য নিঃসন্দেহে মমতা সরকারের অর্থনৈতিক নীতিকে জাতীয় স্তরে প্রশংসিত করছে।
শুক্রবার অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র টুইটারে জানিয়েছেন, “মাথাপিছু আয়বৃদ্ধিতে দেশের মধ্যে সেরা নির্বাচিত হয়েছে বাংলা। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে বাংলার মাথাপিছু আয়বৃদ্ধি (Per Capita Income) হয়েছে ৭.১৬ শতাংশ। যেখানে গোটা দেশের গড় মাথাপিছু আয় ৩.৯৯ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।” অর্থমন্ত্রীর দাবি, এই তথ্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সুস্পষ্ট আর্থিক নীতি এবং নরেন্দ্র মোদির ব্যর্থতাকে প্রতিষ্ঠিত করছে।
[আরও পড়ুন: Durga Puja 2021: হাই কোর্টের পুরনো নির্দেশই বহাল, এবারও পুজোমণ্ডপে দর্শকদের নো এন্ট্রি]
প্রসঙ্গত, ২০২০-২১ অর্থবর্ষেই ১০ লক্ষ কোটি টাকার বেশি অর্থনীতির রাজ্যগুলির মধ্যে জিডিপি বৃদ্ধির নিরিখে দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে ছিল রাজ্য। জিডিপি (GDP) বৃদ্ধির নিরিখে বিজেপি শাসিত গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ এবং কর্ণাটকের মতো তথাকথিত সমৃদ্ধ রাজ্যগুলিকেও টেক্কা দিয়েছে বাংলা। করোনার বছরে বেনজির এই অর্থনৈতিক সাফল্যের জন্য বাংলার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছে খোদ কেন্দ্রের নীতি আয়োগের সিইও অমিতাভ কান্তও। আরবিআই সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে দেশে ১০ লক্ষ কোটি বা তাঁর বেশি জিএসডিপি যুক্ত রাজ্যের সংখ্যা গোটা সাতেক। সেগুলি হল মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটক, বাংলা এবং রাজস্থান। এর মধ্যে ২০২০-২১ শুধু তামিলনাড়ু এবং বাংলারই জিডিপির বৃদ্ধি হয়েছে। বাকি রাজ্যগুলির জিডিপি সংকোচন হয়েছে। গত অর্থবর্ষে তামিলনাড়ুর জিডিপি বেড়েছে ২ শতাংশের কিছু বেশি হারে। আর বাংলার জিডিপি বেড়েছে ১.২ শতাংশ হারে। বাকি রাজ্যগুলির সবক’টিরই জিডিপি নেগেটিভের খাতায়। সার্বিকভাবে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে গোটা দেশের জিডিপিও ৭.৭ শতাংশ সঙ্কুচিত হয়েছে।
[আরও পড়ুন: নির্বাচনের দিন অভ্যেস মতোই আড়ালে রইলেন প্রার্থী মমতা, ভোট দিলেন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে]
শুক্রবার জানা গেল শুধু জিডিপি বৃদ্ধি নয়। মাথা পিছু আয়বৃদ্ধিতেও দেশের অন্যান্য প্রান্তকে টেক্কা দিয়েছে বাংলা। অর্থাৎ করোনার (Coronavirus) বছরেও বাংলার অর্থনীতির সার্বিক বৃদ্ধি হয়েছে।