সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) বিরুদ্ধে। ইউক্রেন যুদ্ধে শিশু অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত তিনি। আর তাই আন্তর্জাতিক অপরাধ দমন আদালত তথা আইসিসি তাঁকে গ্রেপ্তার করতে এই পদক্ষেপ করেছে। কিন্তু আদপে কি গ্রেপ্তার করা যাবে পুতিনকে? সত্য়িই কি হেগের আদালতে বিচারের জন্য তোলা সম্ভব হবে রুশ প্রেসিডেন্টকে? আপাতত এই আলোচনায় সরগরম সংশ্লিষ্ট মহল।
ইউক্রেনের (Ukraine) শিশুদের অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ পুতিনের বিরুদ্ধে আনা হলেও ইউক্রেন নিজেও আইসিসির সদস্য নয়। রাশিয়া (Russia) তো নয়ই। বিশেষজ্ঞদের মতে, পুতিনের বিরুদ্ধে যতই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হোক, নিজের দেশে তাঁর গ্রেপ্তার হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। যদিও আইসিসির অন্তর্ভুক্ত ১২৩টি দেশের যে কোনও দেশে পুতিন গেলেই তিনি গ্রেপ্তার হতে পারেন। খাতায় কলমে তেমন সম্ভাবনা নিশ্চয়ই রয়েছে। কিন্তু আইসিসির নিজস্ব কোনও পুলিশ বাহিনী না থাকায় পুতিনকে গ্রেপ্তার করতে হবে সেই দেশগুলির পুলিশকেই। যা সচরাচর দেখা যায় না। পুতিন একটি রাষ্ট্রের প্রধান। কূটনৈতিক দিক দিয়ে দেখলে তিনি কোনও দেশে এলে তাঁকে সেই দেশের পুলিশের পক্ষে গ্রেপ্তার করা তাই কার্যত অসম্ভব।
[আরও পড়ুন: ডিএ আন্দোলনকারীদের পাশে নওশাদ সিদ্দিকি, ধর্মতলার মঞ্চে যোগ দিয়ে অনশনের হুঁশিয়ারি]
এপ্রসঙ্গে বলা যায় সুদানের প্রাক্তন নেতা ওমর আল-বাশিরের কথা। তিনি আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সত্ত্বেও আইসিসিরই সদস্য দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা ও জর্ডনে গিয়েছিলেন। কিন্তু গ্রেপ্তার হননি আদৌ। ২০১৯ সালে তাঁর বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারির পর কেটে গিয়েছে তিন বছরেরও বেশি সময়। সুদান তাঁকে আইসিসির হাতে তুলে দেয়নি আজও। পুতিন আরও বেশি প্রভাবশালী নেতা। তাই তিনি কোনও দেশে গেলে সেখানকার প্রশাসন তাঁকে গ্রেপ্তারির পদক্ষেপ করবে বলে মনে হয় না।