সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত থেকে পলাতক হীরে ব্যবসায়ী মেহুল চোকসিকে (Mehul Choksi) কি দেশে ফেরত পাঠানো হবে? দ্বীপরাষ্ট্র ডমিনিকায় (Dominica) তাঁর গ্রেপ্তারির পর থেকে এই প্রশ্নই ক্রমশ জোরাল হয়েছে। কিন্তু এই অবস্থায় এমন সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দিচ্ছেন চোকসির আইনজীবী। তাঁর দাবি, যেহেতু তিনি অ্যান্টিগা ও বারবুডার (Antigua and Barbuda) নাগরিক, তাই তাঁকে কেবল মাত্র সেখানেই ফেরত পাঠানো হবে। ভারতে প্রত্যর্পণের কোনও সম্ভাবনাই নেই।
একই বক্তব্য ডমিনিকার পুলিশ প্রধান লিঙ্কন করবেটের। এদিকে এই মুহূর্তে অ্যান্টিগুয়ায় তাঁর প্রত্যর্পণেও স্থগিতাদেশ দিয়েছে ডমিনিকার আদালত। চোকসির আইনজীবীদের অভিযোগ, তাঁদের সঙ্গে প্রাথমিক ভাবে চোকসিকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। এবং চোকসিকে কোনও রকম আইনি সহায়তাও নিতে দেওয়া হচ্ছিল না। এরপরই স্থগিতাদেশ জারি করেছে আদালত। শুক্রবারই ফের এবিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা।
[আরও পড়ুন: স্রেফ সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয়তা পেতে পোষা কুকুরকে বেলুনে বেঁধে উড়িয়ে গ্রেপ্তার ইউটিউবার!]
ডমিনিকার জাতীয় সুরক্ষা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে বৃহস্পতিবারই নিশ্চিত করা হয় ৬২ বছরের ব্যবসায়ীর গ্রেপ্তারির বিষয়টি। বেআইনি ভাবে সেদেশে পা রাখার অভিযোগে তাঁকে আটক করা হয়েছে। এমন গুঞ্জনও রয়েছে, অ্যান্টিগা নয়, সরাসরি বিশেষ জেটে ভারতেই ফেরত পাঠানো হবে তাঁকে। যদিও এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন পলাতক ব্যবসায়ীর আইনজীবী বিজয় আগরওয়াল। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, ‘‘ভারতের অনুরোধ না মানা নিয়ে অ্যান্টিগুয়ার হাই কোর্টের একটি নির্দেশ রয়েছে। তাই আমার মতে, তাঁকে এই পরিস্থিতিতে অ্যান্টিগাতেই ফেরত পাঠানো হবে। ভারতে ফেরত পাঠানোর কোনও সম্ভাবনাই নেই।’’ সেই সঙ্গে তাঁর ডমিনিকায় প্রবেশ ও গ্রেপ্তারির মধ্যে কোনও একটা ‘গোলমাল’ রয়েছে বলেই মত তাঁর।
উল্লেখ্য, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকে ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারির মধ্যে মেহুল প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগ। তারপর আর্থিক তছরূপের পর আইনের হাত থেকে বাঁচতে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের ছোট্ট দেশ অ্যান্টিগা ও বারবুডায় গা ঢাকা দেন ওই ব্যবসায়ী। সম্প্রতি মোদি সরকারের তরফে তাঁকে দেশে ফেরাতে নয়া উদ্যোগ নেওয়া হয়। বিপদ আসন্ন বুঝে, চোকসি গত ২৩ মে অ্যান্টিগা (Antiga) থেকে পালানোর ছক করেন।
বিমানবন্দর বা স্থলপথের বদলে নৌকায় চেপে অ্যান্টিগা থেকে কিউবার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। ডমিনিকার অপরাধ তদন্তকারী বিভাগের হাতে ধরা পড়ে যান কুখ্যাত এই হীরে ব্যবসায়ী।