সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক নয়, একাধিক কারণে হিন্দু ধর্মালম্বীদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কৌশিকী অমাবস্যা। কথিত আছে, কৌশিকী রূপে শুম্ভ ও নিশুম্ভকে এই অমাবস্যাতেই বধ করেছিলেন মা তারা। আবার ভক্তদের বিশ্বাস, এই তিথিতেই তারাপীঠের মহাশ্মশানে সাধনা করে সিদ্ধিলাভ করেছিলেন সাধক বামাক্ষ্যাপা। তাই এদিন সমস্ত বিপদ থেকে মুক্তি পেতে ভক্তদের ঢল নামে তারাপীঠের মন্দিরে। যদিও এবারের পরিস্থিতি অন্যরকম। করোনার জেরে আপাতত বন্ধ তারাপীঠ মন্দির। তাই এবার বাড়ি বসেই পালন করুন এই অমাবস্যা তিথি। সংসারে সুখ-শান্তি বজায় রাখতে করুন এই কাজগুলি।
১৮ আগস্ট অর্থাৎ আজ সকাল ৯ টা ৪৬ মিনিটে শুরু হয়েছে অমাবস্যা তিথি। থাকবে বুধবার সকাল ৮টা ২২ মিনিট পর্যন্ত। ভাদ্র মাসের শুরুতেই পড়া কৌশিকী অমাবস্যা শুরু আজ সকাল ১০টা ৪১ মিনিটে। শেষ হবে বুধবার সকাল ৮টা ১২ মিনিটে। কথিত আছে, এই তিথিতে পূর্বপুরুষরা পৃথিবীতে এসে তাদের পরিবারের লোকেদের আশীর্বাদ করেন। এই আশীর্বাদ পেতে কী কী করবেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
[আরও পড়ুন: মুসলিম ব্যক্তির বাড়ির ভিত খুঁড়তে গিয়ে উদ্ধার শ্রীকৃষ্ণের প্রাচীন মূর্তি, এলাকায় শোরগোল]
- কৌশিকী অমাবস্যা তিথিতে সন্ধের পর বাড়ির সদর দরজার সামনে দু’টি তিলের তেলের প্রদীপ জ্বালান। এতে বাড়ির অশুভ শক্তি দূর হয়ে সংসারে শুভ শক্তির সঞ্চার ঘটে।
- পুরাণ মতে, এই তিথিতে উপোস থাকতে পারলে সংসারের মঙ্গল হয়। তেমনটা সম্ভব না হলে আমিষ খাবার-দাবার না খাওয়াই ভাল।
- এদিন পুজোয় বসে মা তারার পায়ে লাল সিঁদুর ও রক্তজবা নিবেদন করুন। এতে অশুভ শক্তি সংসারে ক্ষতি করতে পারে না। অমাবস্যার অন্ধকার কেটে জীবনে সুখ-সম্বৃদ্ধি ফিরবে।
- যাঁদের বাড়ির আশপাশে কুয়ো আছে তাঁরা এদিন সন্ধেয় সেখানে এক চামচ দুধ ঢালুন। কুয়ো না থাকলে একটি গর্তে চামচে করে দুধ দিন। এতে আপনার ও আপনার কাছে মানুষদের জীবনের বাধাবিপত্তি দূর হবে।
- ভাদ্র আমাবস্যায় গঙ্গাস্নান করতে পারলে খুবই ভাল। পূর্বপুরুষদের পুজো দিয়ে অনেকেই তর্পণ করেন। কিন্তু এই বছর তেমনটা সম্ভব না হলে স্নানের জলে সামান্য গঙ্গার জল মিশিয়ে নিন। প্রত্যেকের বাড়িতেই গঙ্গাজল থাকে। তার সঙ্গে খানিকটা তিল যোগ করে সেই জলে স্নান করে সূর্য প্রণাম করুন।
[আরও পড়ুন: রাম মন্দিরে থাকবে ২১০০ কেজির অষ্টধাতুর ঘণ্টা, সৃজনে সহায়ক মুসলিম কারিগররাও]
The post কৌশিকী অমাবস্যা তিথির গুরুত্ব জানেন? শুভ শক্তির আগমন ঘটাতে এই কাজগুলি করুন appeared first on Sangbad Pratidin.