সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিহার কিংবা উত্তরপ্রদেশের মতোই মধ্যপ্রদেশেও (Madhya Pradesh) অব্যাহত গেরুয়া ঝড়। আর তারপরই বিস্ফোরক মেজাজে রাজ্যে উপ নির্বাচনে বিজেপির দুরন্ত জয়ের নেপথ্য নায়ক জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া (Jyotiraditya Scindia)। দিলেন ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’য়ের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি। তবে নিজের সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি জানালেন, এমন জয়ের পরেও তিনি কোনও পদ আশা করছেন না। পাশাপাশি দু’দশক কংগ্রেসে থাকার পরে নতুন একটা দলে এসে মানিয়ে নেওয়া যে সহজ ছিল না তাও তিনি মেনে নিচ্ছেন। তবে সেই সঙ্গে তাঁর বিজেপি (BJP) সতীর্থদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলে প্রশংসায় পঞ্চমুখ থেকেছেন তিনি।
২৮টি আসনের অধিকাংশই বিজেপির দখলে চলে এসেছে। ইতিমধ্যেই ১৯টিতেই জয় পেয়েছে তারা। জয়ের ফলে সদলবলে বিজেপিতে যোগ দেওয়া জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া নিজের শক্তি প্রদর্শন করলেন। তাঁরা পুরনো দল ছাড়ার পরে রাতারাতি সেখানে কমল নাথ সরকারকে সরিয়ে সরকার গড়েছিল বিজেপি। বিজেপি সরকারের স্থায়িত্ব নিয়ে যে সামান্যতম সংশয় ছিল সেটাও কেটে গেল এবারের উপনির্বাচনের পর।
[আরও পড়ুন: বিহারের প্রতিষ্ঠান বিরোধিতাকে ছাপিয়ে গেল মোদি ম্যাজিক! ফ্যাক্টর মহিলা ভোটাররা]
এদিন জ্যোতিরাদিত্যর কথায় উঠে আসে বিহারে ভোট প্রচারে বিজেপি নেতাদের ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেওয়ার প্রসঙ্গও। তাঁর সাফ কথা, ‘‘জয় শ্রীরাম স্লোগানে সমস্যাটা কোথায়? আপনি ধর্মনিরপেক্ষ হলে জয় শ্রীরাম বলতে পারবেন না? ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’ অবশ্য এমনই দাবি করে।’’ পাশাপাশি তিনি স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দেন, কেউ দেশের একতা নষ্ট করতে চাইলে কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশস্তিও শোনা গিয়েছে তাঁর গলায়। তাঁর কথায়, ‘‘প্রধানমন্ত্রী কেবল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নন। তিনি ১৩০ কোটি মানুষেরও প্রধানমন্ত্রী।’’
তিনি নতুন দল বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই রাজনৈতিক মহলের জল্পনা ছিল, কোনও বড় পদে শিগগিরি দেখা যাবে তাঁকে। কিন্তু এদিন রাজ্যসভার সাংসদ জ্যোতিরাদিত্য পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি কোনও পদ প্রত্যাশা করছেন না। তাঁর কথায়, ‘‘আমি বরাবরই মাটিতে নেমে কাজ করা কর্মী। ওটাই আমার ভূমিকা। আর সেটাই থাকবে। কংগ্রেসের অনেকের মতো আমি কোনও দিনই চেয়ারের পিছনে দৌড়ইনি। তবে তাঁদের নাম আমি করতে চাই না।’’