সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যত সময় যাচ্ছে ততই বেড়ে চলেছে হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) নির্ভরশীলতা। কিন্তু সতর্ক না হয়ে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপের ক্লোন ব্যবহার করতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনছেন না তো? সম্প্রতি মেলা এক হিসেব বলছে ২০২২ সালে ৯.৫ শতাংশ অ্যান্ড্রয়েডেই মিলেছে ম্যালওয়্যার! স্বাভাবিক ভাবেই এমন ঘটনায় জল্পনা তুঙ্গে।
সাইবার নিরাপত্তা গবেষণা সংস্থা ESET’র সাম্প্রতিক রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, সেই ক্লোনের নাম জিবি হোয়াটসঅ্যাপ। এটি একটি থার্ড পার্টি অ্যাপ। গুগল প্লে স্টোরে এর দেখা মেলে না। কিন্তু এপিকে ফাইলের মাধ্যমে ইনস্টল করা যায়। আর এই অ্যাপটিই ভারতীয় ইউজারদের চ্যাটের উপরে রীতিমতো নজরদারি চালায়। চুরি করে নেয় তথ্য। রিপোর্ট থেকে আরও জানা যাচ্ছে, গোটা বিশ্বে সবথেকে বেশি অ্যান্ড্রয়েড ট্রোজান ভাইরাসের অস্তিত্ব ধরা পড়েছে ভারতেই।
[আরও পড়ুন: দাম্পত্য অশান্তির জেরে ঘুমন্ত স্বামীর যৌনাঙ্গে এলোপাথাড়ি কোপ, ফেরার স্ত্রী]
জানা যাচ্ছে, একবার এই অ্যাপ ইনস্টল করলেই তা কাজ করতে শুরু করে ইউজারের সম্পূর্ণ অজান্তে। এবং ট্রোজান ম্যালওয়্যারটিও ফোনে দেখতে পাওয়া যায় না। ফোনের দৈনন্দিন কাজকর্মে কোনও রকম ছাপও থাকে না। ফলে বুঝতে পারাই দুষ্কর। ফলে আপনার সব তথ্য দ্রুত বেহাত হতে থাকে। অথচ আপনি কিচ্ছুটি টের পান না।
কীভাবে রক্ষা পাবেন এই ধরনের বিপদ থেকে? জেনে নিন-
- গুগল প্লে স্টোর ছাড়া অন্য কোথাও থেকে কোনও অ্যাপ ডাউনলোড ও ইনস্টল করবেন না। অধিকাংশ APK ফাইলগুলিই কিন্তু ম্যালওয়্যার।
- হোয়াটসঅ্যাপ কিংবা অন্য কোনও সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপের কোনও অন্য সংস্করণ কখনও ডাউনলোড করবেন না। যদি সংস্থার তরফে এই ধরনের আপডেটেড অ্যাপ প্রকাশিত হয়, তাহলে আলাদা কথা। অন্যথায় অফিসিয়াল অ্যাপটি ছাড়া অন্য কোনও অ্যাপের দিকে না যাওয়াই ভাল।
- যদি আপনার সন্দেহ হয়, আপনার ফোনটিতে ম্যালওয়্যার হানা দিয়েছে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দিন। এরপর ফোনের ‘হার্ড ফ্যাক্টরি রিসেট’ করুন। কোনও রকম সন্দেহভাজন ওয়েবসাইট থেকে সন্দেহভাজন অ্যাপ ডাউনলোড করবেন না।