নব্যেন্দু হাজরা: ভরা জানুয়ারিতে শীতের দেখা নেই। অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (Swastika Mukherjee) পর্যন্ত অবাক। টুইটারে লিখেছেন, “পাখা চলছে? বলি হচ্ছে টা কী? প্রিয় কলকাতা, লেপ, কম্বল আর বালাপোশগুলি তুলে রাখো। শীত আমাদের ত্যাগ করেছে।”
শুধু স্বস্তিকা নন গোটা বাংলার মনের অবস্থাই এখন এই রকম। সকালে তাও কিছুটা ঠান্ডার ছোঁয়া পাওয়া যাচ্ছে। বেলা হতেই তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। শুক্রবারও শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি। এই পরিস্থিতিকে নজিরবিহীন হিসেবেই ব্যাখ্যা করছেন হাওয়া অফিসের কর্তারা। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শীতে বাধ সেধেছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। তাতেই আটকে উত্তুরে হাওয়া। ফলে ডিসেম্বরের শেষে হাড় কাঁপানো শীত উপভোগ করলেও জানুয়ারিতে পারদ চড়েছে। আর গরম বেড়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘মুখ্যমন্ত্রী ও ভাইপো রাজ্যকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে’, ফের তোপ কৈলাস বিজয়বর্গীয়র]
শুক্রবার সকালে শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮.৬ ডিগ্রি। স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি। বৃহস্পতিবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০.৭ ডিগ্রি। তাও স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি। শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা আনুমানিক ২৯ ডিগ্রি। রাতের দিকেও তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রির বেশি নামবে না। হাওয়া অফিসের কর্তাদের মতে, আরও কিছুদিন এই অবস্থা থাকবে। পূবালী হাওয়ার দাপটে জলীয় বাষ্প বাড়ছে। এদিন বাতাসে জলীয়বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯৬ শতাংশ। ফলে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবে।
তাহলে কি পৌষে আর শীতের আমেজ পাওয়া যাবে না? আবহাওয়াবিদদের মতে বাংলা মাসের শেষে অর্থাৎ সংক্রান্তিতে কিছুটা উষ্ণতা কমতে পারে। তার আগে আগামী কয়েকদিন দেশের উত্তর-পশ্চিম এলাকার রাজ্যগুলিতে তাপমাত্রা কমবে। দক্ষিণ ভারতের বেশ কিছু রাজ্যে বৃষ্টিপাত হবে। উত্তর-পশ্চিম ভারতের পাশাপাশি উত্তর-পূর্ব ভারতেও সকালের দিকে কুয়াশার প্রভাব থাকবে বলে জানা গিয়েছে। তবে শীতের ছোঁয়া পেতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে বলেই খবর।