সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত এক বছরে পৃথিবীটাই যেন বদলে দিয়েছে কোভিড-১৯ (COVID-19)। চিনের (China) ইউহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়ার পরে অতিমারীর আকার নিয়েছে করোনা ভাইরাস। প্রথম থেকেই নানা জল্পনা শোনা গিয়েছে মারণ ভাইরাসের উৎপত্তি নিয়ে। প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প-সহ অনেকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন বেজিংয়ের দিকে। প্রশ্ন উঠেছিল, ইউহানের মাছ-মাংসের বাজার থেকেই সংক্রমণের শুরুয়াৎ? আবার অনেকেই দাবি করতে থাকেন, ইউহানের ল্যাবরেটরিতে কৃত্রিম ভাবে তৈরি করা হয়েছে এই ভাইরাস! এই মুহূর্তে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO-র প্রতিনিধি দল রয়েছে চিনে। তাঁদের দাবি, করোনার জন্ম সম্পর্কে নতুন তথ্য পেয়েছেন তাঁরা।
কী ধরনের তথ্য পেয়েছেন তাঁরা? সরাসরি কিছু না বললেও মাছ-মাংসের বাজার সম্পর্কে নতুন মেলা তথ্যগুলিকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ বলে জানিয়েছেন তাঁরা। চোদ্দো জনের দলের অন্যতম সদস্য নিউ ইয়র্কের প্রাণীবিদ পিটার ডাসজাক আশাপ্রকাশ করেছেন বুধবারের মধ্যেই এব্যাপারে কোনও ঘোষণা করতে পারে হু। এবিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তাঁর দাবি, বেশ কিছু সত্যিকারের ‘ক্লু’ তাঁর হাতেও এসেছে।
[আরও পড়ুন: পাকিস্তানে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালায়নি ইরান! মুখরক্ষায় দাবি ইসলামাবাদের]
তবে চিনের ল্যাবরেটরিতে কৃত্রিম উপায়ে ভাইরাস তৈরির সম্ভাবনাকে পত্রপাঠ নাকচ করে দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি ভাইরাসের উৎস খুঁজে বের করতে চিনেরও সদিচ্ছার অভাব নেই বলেই জানাচ্ছেন পিটার। তাঁর দাবি, ”গত কয়েক মাস ধরেই এই নিয়ে কাজ করে চলেছেন ওঁরা।” তাঁদের দলের সঙ্গেও নিয়মিত আলোচনায় বসতে যে বেজিংয়ের কোনও আপত্তি ছিল না পরিষ্কার করে দিয়েছেন সেটাও। তাঁর কথায়, ”প্রতিদিনই আমরা ওঁদের সঙ্গে বসেছি। নানা তথ্য, নতুন ডেটা আদানপ্রদান করা হয়েছে। আমরা ওদের জানিয়েছিলাম আমরা কোন জায়গাগুলো পরিদর্শন করতে চাই। আমাদের অনুরোধ মেনে নিয়ে সমস্ত জায়গাতেই যেতে দেওয়া হয়েছে আমাদের।”
তাঁর দাবি, প্রাপ্ত সমস্ত তথ্য একসঙ্গে মিলিয়ে দেখার পরই এসম্পর্কে জানাতে পারবেন তাঁরা। পিটারের কথায়, ”আমরা এখন এমন অনেক কথা জানি, যা আমরা প্রথমে ভাবতেই পারিনি।” তাঁর মতে, করোনার উৎপত্তি সম্পর্কে নিঃসংশয় হওয়া দরকার। যাতে পরবর্তী সময়ে এই ভাইরাস থেকে অতিমারী হওয়া রোখা যায়।