সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) ভারতীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছিলেন। এই ‘অপরাধে’র জেরে সাংবাদিক সাবরিনা সিদ্দিকিকে (Sabrina Siddiqui) লাগাতার হেনস্তার মুখে পড়তে হয়। এবার তাঁর পাশে দাঁড়াল হোয়াইট হাউস (White House)। মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাসভবনের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, সাংবাদিকের হেনস্তা একেবারে মেনে নেওয়া যায় না। এহেন আচরণের তীব্র নিন্দা করছে হোয়াইট হাউস।
দেশে সচরাচর সাংবাদিকদের প্রশ্ন নেন না বলেই অভিযোগ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে। তবে এবার মার্কিন (USA) মুলুকে গিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন মোদি। সেখানে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সাংবাদিক সাবরিনা সটান প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, “দেশের মুসলিম এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের অধিকারের রক্ষা ও বাক্স্বাধীনতা রক্ষায় আপনি ও আপনার সরকার কী কী পদক্ষেপ করছেন?” উত্তরে প্রধানমন্ত্রী সব কা সাথ সব কা বিকাশের কথা বলে প্রশ্নের জবাব দেন। তারপর থেকেই নেটদুনিয়ায় প্রবল কটাক্ষের মুখে পড়েন মুসলিম সাংবাদিক সাবরিনা।
[আরও পড়ুন: লাখ টাকার মাথা! পুলিশের গুলিতে উত্তরপ্রদেশে খতম কুখ্যাত গ্যাংস্টার গুফরান]
মার্কিন সাংবাদিকের ধর্মীয় পরিচয় ঘিরেই উড়ে আসে নানা কটাক্ষ। এছাড়াও আগুনে ঘি ঢালে সাবরিনার পারিবারিক ইতিহাস। তার প্রপিতামহ ছিলেন শিক্ষাবিদ স্যর সৈয়দ আহমেদ খান। তবে ভারতে জন্ম হলেও পরে পাকিস্তানে চলে যান সাবরিনার বাবা জামির সিদ্দিকি। সেই কারণেই সাবরিনার প্রশ্নে ক্ষুব্ধ নেটদুনিয়া। তাঁর এই প্রশ্নকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ আখ্যা দিয়েছেন বিজেপি নেতা তথা দলের আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যও। লাগাতার আক্রমণের মুখে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতের জার্সি পরা ছবিও আপলোড করেন তিনি।
এহেন পরিস্থিতিতে সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের অন্যতম শীর্ষকর্তা জন কিরবি। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালেরই এক সাংবাদিক জিজ্ঞাসা করেন, “মোদিকে প্রশ্ন করার জেরে আমাদের এক সহকর্মীকে যেভাবে হেনস্তার মুখে পড়তে হচ্ছে, সেই প্রসঙ্গে কী প্রতিক্রিয়া দেবে হোয়াইট হাউস? উত্তরে কিরবি সাফ জানান, “সাংবাদিকের হেনস্তার খবর রয়েছে আমাদের কাছে। এটা একেবারে মেনে নেওয়া যায় না। যে কোনও পরিস্থিতিতেই সাংবাদিকদের নিন্দার তীব্র নিন্দা করবে হোয়াইট হাউস। কারণ এই আচরণ গণতন্ত্রের আদর্শের তীব্র বিরোধী।”