সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জি-২০ সম্মেলন। বিশ্বের তাবড় তাবড় দেশনেতাদের আগমন। দু’দিনের সমাবেশে দিল্লির সৌন্দর্যায়নে খরচ হচ্ছে প্রায় ৪০০০ কোটি টাকা। কিন্তু সেই সৌন্দর্যায়নের জন্যই নাকি দিল্লিতে ঘরহারা হচ্ছেন বহু মানুষ। বসতি, দোকানপাটে চলেছে বুলডোজার। যা নিয়ে ভারত সরকার বিশেষ অস্বস্তিতে না থাকলেও খানিকটা হলেও অস্বস্তিতে পড়তে হল হোয়াইট হাউসকে (White House)।
আমেরিকা, যারা কিনা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ নিয়ে এত বড়াই করে, তাঁরা কী এই বস্তি ভাঙার প্রসঙ্গ নিয়ে নয়াদিল্লিকে কোনও প্রশ্ন করেছে? মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এই বসতি ভাঙার প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছেন? সাংবাদিকরা প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাল হোয়াইট হাউসকে।
[আরও পড়ুন: আফ্রিদিকন্যার সঙ্গে আবারও বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন পাক পেসার শাহিন! কিন্তু কেন?]
যার জবাবে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন ফাইনার জানালেন,”আমার মনে হয়, ভারত এবং আমেরিকা দুই দেশই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাস করে। আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মূল ধারণাও ওই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের উপরই দাঁড়িয়ে আছে। সেটা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং প্রেসিডেন্ট বাইডেন (Joe Biden), দু’জনেই বলেছেন। স্বাভাবিকভাবেই দুই রাষ্ট্রপ্রধানের আলোচনার মধ্যে এই সব কিছুই এজেন্ডা হিসাবে উঠে এসেছে।” বস্তুত হোয়াইট হাউসের ওই কর্তা ঘুরিয়ে বুঝিয়ে দিলেন, দিল্লির বস্তি ভাঙার বিষয়টি নিয়েও মোদির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
[আরও পড়ুন: G-20 বৈঠকের জন্য কোপ বস্তিতে, ‘বাস্তবকে আড়াল করা হচ্ছে’, তোপ রাহুলের]
উল্লেখ্য, ভারতের ‘গরিবি’ যাতে বিদেশি অতিথিদের নজরে না পড়ে, সেটা নিশ্চিত করতে, রুগ্ণতাকে আড়াল করতে সবরকম পদক্ষেপ করেছে মোদি সরকার। কোনওভাবেই অস্বস্তির কোনও ছবি যাতে প্রকাশ্যে না আসে, সেটা নিশ্চিত করতে নিরাপত্তার কড়াকড়িও চোখে পড়ার মতো। বিদেশিদের রুটে পড়া ঝুপড়ি, ফুটপাথের ধারের শ্রমজীবীর দোকান, যা কিছু ম্লান, যা কিছু আধুনিক ঔজ্জ্বল্যের বিপরীত, বেমানান, সেখানেই চলেছে বুলডোজার। সামনে রঙিন কাপড় বা টিনের আড়ালে ঢেকে দেওয়া হয়েছে গরিবি। জি-২০ সম্মেলনের ঝকঝকে মঞ্চে, এটাই এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।