সন্দীপ চক্রবর্তী ও শুভঙ্কর বসু : মন্ত্রী জাভেদ খাঁর পুত্র ফৈয়াজ আহমেদ খাঁ পৈতৃক নিবাস তিলজলার এলাকা থেকে সর্বাধিক ভোটে (Kolkata Municipal Election 2021) জিততে পারেন, এটা নিয়ে কোনও সংশয় ছিল না। গতবারও ৩০ হাজারের বেশি ভোটে জিতেছিলেন তিনি। সেটাও রেকর্ড ছিল। এবার সেই ব্যবধান একেবারে বেড়ে দ্বিগুণ, ৬২ হাজার ৪৫। তাঁর পরেই স্থান পেয়েছেন ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহার পুত্র সন্দীপন সাহা। ক্যালকাটা বয়েজ স্কুল হয়ে জোকা আইআইএম প্রাক্তনী সন্দীপন গতবার জিতেছিলেন তালতলা এলাকার অন্য ওয়ার্ড থেকে। আর ৫৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে গতবার প্রায় ১৭ হাজার ভোটে জিতেছিলেন স্বপন সমাদ্দার। সন্দীপন সেই ব্যবধান ছাড়িয়ে গেলেন। ব্যবধান বেড়ে হল দ্বিগুণ। সন্দীপন জিতেছেন ৪০ হাজারের বেশি ভোটে। ফৈয়াজ পেয়েছেন প্রায় ৮৮ শতাংশ ভোট। জয়ের ব্যবধানের নিরিখে তিন নম্বরে ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি শেষ পর্যন্ত জিতলেন ৩৭ হাজার ৬২৩ ভোটে।
সাতটি ওয়ার্ডে ৯০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। এর মধ্যে রেকর্ড ভোট শতাংশ এসেছে গার্ডেনরিচ এলাকায় ১৩৪ নম্বরের শামস ইকবালের ঝুলিতে। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও রাজনৈতিক দলের প্রার্থী ছিলেন না। বিরোধী তিনজনই ছিলেন নির্দল। শামসের প্রাপ্ত ভোট শতাংশ ৯৭.২৬। এছাড়াও ৯৩ শতাংশ ভোট পেয়েছেন আরও দু’জন। ৩৫ নম্বরের আশুতোষ দাস ও ১৪২ নম্বরের রঘুনাথ পাত্র। আর ৮০ শতাংশ থেকে ৯০ শতাংশের মধ্যে ‘লেটার মার্কস’ ২৫ জনের। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অতীন ঘোষ, গৌতম হালদার, তরুণ সাহা, পরেশ পাল, অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কাকলি সেন। ৯০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছেন মনজার ইকবাল, জীবন সাহা, শাম্মি জাহান।
[আরও পড়ুন: পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়েছে স্ত্রী! স্রেফ সন্দেহের বশে তরুণীর উপর অ্যাসিড হামলা স্বামীর]
এদিকে, সবথেকে কম ব্যবধানে জয় উত্তর কলকাতার মীরা হাজরার। মাত্র ৪৪ ভোটে জিতেছেন তিনি। সবমিলিয়ে এবারের পুরভোটে ৭৩১ জনের জামানত জব্দ হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে বিজেপির প্রার্থী ১১৬ জন, বামফ্রন্টের হয়ে লড়েছিলেন ৯৭ জন ও ১১২ জন কংগ্রেস প্রার্থী জমানত খুঁইয়েছেন। এছাড়াও ৪০৬ নির্দল প্রার্থীর জমানত গিয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে কোনও প্রার্থীকে মোট বৈধ ভোটের এক যষ্ঠাংশ ভোট পেতে হবে। এর কম ভোট পেলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর জামানত জব্দ হয়। নির্বাচনের ফলাফল আসার পর দেখা যাচ্ছে মোট ৭৩১ জন প্রার্থী এক যষ্ঠাংশের চেয়ে কম ভোট পেয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও প্রার্থীর জামানত জব্দ হয়নি। এবার জামানত হিসাবে সাধারণ প্রার্থীদের জন্য ৫০০ টাকা এবং মহিলা ও তফশিলি প্রার্থীর জন্য ২৫০ টাকা বরাদ্দ করেছিল কমিশন।