সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের করোনা (Coronavirus) সংক্রমণে অনেকটাই রাশ টানা সম্ভব হয়েছে। দীর্ঘদিন পর দু’হাজারের নিচে নেমেছে সংক্রমণ। কিন্তু বাকি বিশ্বের ক্ষেত্রে ছবিটা আশঙ্কাজনক। চিন কিংবা দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। এই ‘সিঁদুরে মেঘ’ দেখে চিন্তিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO। ইতিমধ্যেই তাদের তরফে জানানো হয়েছে, তিনটি ভুল ধারণাই মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে। আর সেই কারণেই ফের বাড়তে শুরু করেছে সংক্রমণ।
শনিবারই কোভিড-১৯ টেকনিক্যাল লিড মারিয়া ভ্যান কেরখোভ এবিষয়ে সকলকে সচেতন করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এই তিনটি ভুল ধারণা হল ‘অতিমারী (Pandemic) শেষ হয়ে গিয়েছে’, ‘ওমিক্রন খুবই মৃদু’ এবং ‘ওমিক্রনই করোনার শেষ স্ট্রেন’। এই ধরনের ধারণাই মানুষকে বিভ্রান্ত করছে বলে তিনি দাবি করেছেন।
[আরও পড়ুন: ‘বন্ধু’ মোদির ডাকে সাড়া, প্রথমবার ভারত সফরে আসছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী]
সেই সঙ্গে টিকাকরণের প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেছেন তিনি। মারিয়ার মতে, ওমিক্রন-সহ করোনার নানা স্ট্রেনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে টিকা দারুণ কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। পাশাপাশি এর ফলে মৃত্যুও এড়ানো গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ‘হু’ সম্প্রতি জানিয়েছে, অতিমারী শেষ হতে এখনও দেরি রয়েছে। যেভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফের সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী, তা দেখে এমনটাই মনে করা হচ্ছে। গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে সংক্রমণের হার বেড়েছে ৮ শতাংশ। এই লম্বা লাফই চিন্তায় রেখেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে। করোনা পরিস্থিতিকে হালকা ভাবে না নিতেই আরজি জানাচ্ছে WHO।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে নতুন করে করোনা চোখ রাঙালেও ICMR অবশ্য বলছে, এর জন্য দেশবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। অন্য দেশে সংক্রমণ বাড়লেই যে ভারতেও বাড়বে, তার কোনও মানে নেই। তবে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এখনও সমস্ত কোভিডবিধি মেনে চলার পরামর্শই দিচ্ছে ICMR। এদিকে দেশে সংক্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমলেও এখনও উদ্বেগে রাখছে দেশের মৃত্যুহার।