সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যুদ্ধে হামাসের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা! গত চারমাসে গাজার বেশ হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে ইজরায়েলি বাহিনী। সবকটিতেই হামাসের জঙ্গিদের কমান্ড সেন্টারের প্রমাণ দিয়েছে তারা। কিন্তু সব কিছু দেখেও অন্ধ হয়ে আছে হু। এইরকমই একগুচ্ছ অভিযোগ নিয়ে রাষ্ট্রসংঘে দরবার করেছিলেন ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত। কিন্তু ইহুদি দেশটির সব অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
এএফপি সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রসংঘে হেলথ এজেন্সি’স বোর্ডের বৈঠক ছিল। সেখানেই ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত মেইরাভ ইলন শাহার অভিযোগ জানান, “গাজায় হাসপাতালগুলোকে হামাস সামরিক কার্যকলাপের জন্য ব্যবহার করছে। সেই প্রমাণ বারবার ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী দিয়েছে। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চোখ বন্ধ করে রেখেছে। বিষয়টি তারা এড়িয়ে গিয়েছে। আমরা বারবার বলেছি ওই হাসপাতালগুলোয় পণবন্দিদের রাখা হয়েছে। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করা হয়নি। এর থেকেই বোঝা যায় ওদের মধ্যে যোগসাজশ রয়েছে।”
[আরও পড়ুন: দেশের আর্থিক অবস্থা সামলাতে চাষে নামছে পাক সেনা!]
শুক্রবার ইজরায়েলের এই সমস্ত অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রিয়েসুস। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি জানান, ‘হু সবসময় মানুষের স্বাস্থ্য ও কল্যানের জন্য কাজ করে। ইজরায়েল যে অভিযোগগুলো জানাচ্ছে তা সত্য নয়। স্বাস্থ্যকেন্দ্র সবসময় সুরক্ষিত থাকে। সেগুলো কোনও সময় সামরিক অভিযানের জন্য ব্যবহৃত হয় না। এই ধরনের মিথ্যা অভিযোগ বিপদজনক। আমাদের যাঁরা ওখানে জীবন বাজি রেখে কাজ করছেন তাঁদের জন্যও এগুলো ক্ষতিকর।’
উল্লেখ্য, গাজার অন্যতম দুটি হাসপাতাল র্যানটিসি ও আল শিফায় অভিযান চালিয়েছিল ইজরায়েলি ফৌজ। ইহুদি দেশটির অভিযোগ গাজার একাধিক হাসপাতালে নিজের ঘাঁটি গেড়েছে হামাস। সাধারণ মানুষদের মানব ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে যুদ্ধে ব্যবহার করছে জেহাদিরা। গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামলার পর যাঁদের পণবন্দি করা হয়েছে তাঁদেরও এখানে লুকিয়ে রাখা হয়েছে।