সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা ভোটের কথা ভেবে বিজেপি সভাপতি পদে বাড়ানো হয়েছিল জেপি নাড্ডার মেয়াদ। এ মাসেই সেটা শেষ হচ্ছে। নাড্ডার নেতৃত্বে লোকসভায় এমন কিছু ভালো ফল বিজেপি (BJP) করেনি। ফলে আর তাঁর মেয়াদ বাড়ার বিশেষ সম্ভাবনা নেই। সব ঠিক থাকলে আগামী মাসেই নতুন সর্বভারতীয় সভাপতি পেতে চলেছে গেরুয়া শিবির।
এখন প্রশ্ন হল, নতুন সভাপতি হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে কে? মূলত দুটি নাম ভেসে আসছে। এক, মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান (Shivraj Singh Chauhan)। দুই, হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খাট্টার। শিবরাজকে চলতি বছর যেভাবে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরানো হয়েছিল, তাতে অনেকে পুরনো বিজেপি নেতাই অসন্তুষ্ট হন। লোকসভায় খারাপ ফলের পর শিবরাজকে ভালো পদে আনার ব্যাপারে ভাবা হচ্ছে। মধ্যপ্রদেশের 'মামা'কে পছন্দ আরএসএসেরও।
[আরও পড়ুন: লোকসভায় ধাক্কা খেতেই শুরু ‘খয়রাতি’, বিনামূল্যে বাস পরিষেবা হরিয়ানার বিজেপি সরকারের]
লড়াইয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন মনোহরলাল খাট্টার। শিবরাজের থেকেও 'আপত্তিকর ভাবে' তাঁকে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরিয়েছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। খাট্টার আবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পুরনো বন্ধু। সেদিক থেকে দেখতে গেলে খাট্টার মোদি-শাহদের 'ইয়েস ম্যান'। অমিত শাহ এবং হবু প্রধানমন্ত্রী মোদির ভোট যাবে তাঁর পক্ষেই। কিন্তু সমস্যা হল বিজেপির সভাপতি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আরএসএসের সম্মতিও প্রয়োজন। লোকসভা ভোটের ফলাফলের পরই জেপি নাড্ডার (JP Nadda) বাড়িতে বৈঠকে বসেছিলেন আরএসএস এবং বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। বৈঠকে ছিলেন দত্তাত্রেয় হোসবলে, অরুণ কুমারের মতো আরএসএসের নেতারা। ওই বৈঠকে পরবর্তী সভাপতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: মোদির শপথে উপস্থিত থাকছেন খাড়গে, আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান তৃণমূলের]
যদিও পুরোটাই পরিষ্কার হয়ে যেতে পারে রবিবার প্রধানমন্ত্রীর শপথের পরই। খাট্টার এবং শিবরাজ দুজনেই লোকসভা ভোটে জিতে এসেছেন। যদি তাঁদের মধ্যে কাউকে মন্ত্রী করা হয় তাহলে জেনে নিতে হবে অন্যজন সভাপতি হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে। যদি কাউকেই মন্ত্রিত্ব না দেওয়া হয়, তাহলে বুঝতে হবে দুজনকেই সংগঠনে কাজে লাগাবে গেরুয়া শিবির।