সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জগন্নাথ (Jagannath) মাহাত্ম্য দিকে দিকে। পুরীর (Puri) বিশ্বপিতার শরণে আবদ্ধ কোটি কোটি মানুষ। আর সেই ভক্তকুলের অলিন্দেই উঠে আসে রথযাত্রার (Rath Yatra) একাধিক উপাচারের কথাও। যার অন্যতম ভোগ নিবেদন। ৫৬ ভোগের রাজকীয় সেই খাবারের পদগুলি থেকে নিয়ম সবক্ষেত্রেই পাওয়া যায় পুরাণকথার একাধিক আঙ্গিক। কিন্ত কেন দেওয়া হয় এই বিশেষ ভোগ? কী বলছে পুরাণ!
৫৬ ভোগ নিবেদনের নেপথ্য হিসেবে উঠে আসে বহু কারণ। এই বিষয়ে পুরাণে একাধিক কাহিনি থাকলেও সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে একটি কাহিনির। কী সেই কাহিনি? সেখানে বলা হয়েছে, শ্রীকৃষ্ণ ইন্দ্রপুজো বন্ধ করে গোবর্ধন পুজো চালু করতে উদ্যত হন।
[আরও পড়ুন: পুরীর রথযাত্রায় জগন্নাথকে দেওয়া হয় ৫৬ ভোগ, কোন কোন পদ থাকে?]
যদিও শ্রীকৃষ্ণ (Shree Krishna) ইন্দ্রের পূজার বিরোধী ছিলেন না। তিনি ভয় থেকেই ইন্দ্রপুজো করার বিরোধী ছিলেন। কৃষ্ণ ব্রজবাসীদের গোবর্ধন পর্বতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রদান করে গোবর্ধন পূজা করার কথা বলেন। এরপর শ্রীকৃষ্ণের কথা অনুযায়ী, ব্রজবাসীরা যখন গোবর্ধনের পূজা শুরু করেন, তখন ক্ষিপ্ত হন ইন্দ্রদেব। রেগে গিয়ে ঝড়বৃষ্টি, বজ্রপাতের কবলে ফেলতে উদ্যত হন বৃন্দাবনকে। আর এই কারণেই শ্রীকৃষ্ণ ব্রজবাসীদের রক্ষা করার জন্য গোবর্ধন পর্বত হাতে তুলে নেন এবং কনিষ্ঠ আঙুল দিয়ে ধরে রাখেন সেই পর্বত।
[আরও পড়ুন: রথযাত্রার আগে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে শিশু সেবায়েত, পাবে বিপুল সাম্মানিক]
পুরাণকথায় বলা হয়, শ্রীকৃষ্ণ ৭ দিন ৭ রাত্রি এইভাবে গোবর্ধন পর্বতকে নিজের আঙুলের উপর ধারণ করেছিলেন বলে অভুক্ত থাকেন! আর এই জন্যই শ্রীকৃষ্ণ ইন্দ্রকে ক্ষমা করলেও ব্রজবাসীরা ক্ষিপ্ত হন ইন্দ্রের উপরে। সেই সূত্রেই ইন্দ্র ৭ দিনের জন্য ৫৬ বার ভোগ নিবেদন করেন শ্রীকৃষ্ণকে। মূলত, শ্রীকৃষ্ণকে ভোগ নিবেদনের এই রীতি থেকেই নাকি রথযাত্রা উপলক্ষে জগন্নাথকেও ৫৬ ভোগ নিবেদন করা হয়। যদিও ‘স্কন্ধপুরাণ’ অনুয়ায়ী রয়েছে এই ভোগপর্ব নিয়ে ভিন্নমতও। ‘অন্নব্রহ্ম’ নামে ভোগ নিবেদনের বিশেষত্ব নিয়ে রয়েছে একাধিক কাহিনিও।