সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কত কাছে তবু কত দূরে! চাঁদের (Moon) কথা ভাবতে বসলে তেমনই মনে হয় বিজ্ঞানীদের। আসলে পৃথিবীর নিকটতম প্রতিবেশী চাঁদ। তবু আজও এই উপগ্রহের বহু রহস্যই ভেদ করা যায়নি। এই পরিস্থিতিতে একটি সুখবর শোনালেন বিজ্ঞানীরা। জানিয়ে দিলেন, চাঁদের দুই পিঠের বৈপরীত্যের কারণ কী, এই বহু দিনের ‘জটিল ধাঁধা’র সমাধান করে ফেলেছেন তাঁরা।
সম্প্রতি একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে ‘সায়েন্স অ্যাডভান্সেস’ নামের একটি জার্নালে। সেখানে গবেষকরা জানিয়েছেন, কীভাবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে ঘটা এক মহাজাগতিক ঘটনায় এই পরিবর্তন ঘটে গিয়েছিল।
[আরও পড়ুন: লিভ-ইন সম্পর্ক থেকে বাড়ছে যৌন অপরাধ, মন্তব্য হাই কোর্টের]
ঠিক কী হয়েছিল? আজ থেকে ৪৩০ কোটি বছর আগে চাঁদের মাটিতে আছড়ে পড়েছিল একটি অতিকায় গ্রহাণু। সেই বিস্ফোরণ ছিল বিপুল। আর সেই বিস্ফোরণের ধাক্কাতেই বদলে যায় চাঁদের অস্তিত্ব। এর ফলে চাঁদের দুই অর্ধের ভারসাম্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পৃথিবী থেকে যে অংশটি দৃশ্যমান সেদিকে এখনও চিহ্ন রয়েছে লাভা উদগীরণের। অন্য প্রান্তটিতে রয়েছে বহু গহ্বর। এবং সেখানে লাভা উদগীরণের কোনও চিহ্নমাত্র নেই।
বাহ্যিক পরিবর্তনের পাশাপাশি চাঁদের অভ্যন্তরেও সেই প্রাগৈতিহাসিক বিস্ফোরণের কী প্রভাব পড়েছে তা খতিয়ে দেখছেন গবেষকরা। মার্কিন মুলুকের ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের পাশাপাশি পারডিউ বিশ্ববিদ্যালয়, স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও নাসার গবেষকরা মিলে এই পর্যবেক্ষণ চালিয়েছেন।
ওই গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ওই সংঘর্ষের কারণে দক্ষিণ মেরুতে সৃষ্টি হয় ‘সাউথ পোল-এইটকেন’ বেসিন। মনে করা হয়, বিস্ফোরণটি সৌরজগতের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিস্ফোরণ। বিজ্ঞানীরা বলছেন, সংঘর্ষে যে বিপুল উত্তাপ তৈরি হয়েছিল তাতেই চাঁদের দুই পিঠে বৈপরীত্যের সৃষ্টি হয়। যেদিকে উত্তপ্ত লাভার উদগীরণ হয়েছিল, সেখানে কারণে একরকম ভৌগলিক চেহারা। অন্যদিকটি যার থেকে একেবারেই আলাদা।