সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের পরমবন্ধু রাশিয়া। বহুবার প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সেই সম্পর্কের পরীক্ষা হয়েছে। কোনওবারই ভারতকে হতাশ হতে হয়নি। পালটা, ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে মার্কিন চাপ সত্ত্বেও বন্ধুরাষ্ট্রের পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত। কিন্তু, তারপরও উজবেকিস্তানে হওয়া দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীকে নরেন্দ্র মোদিকে জন্মদিনের আগাম শুভেচ্ছা জানাননি ররুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ফলে প্রশ্ন উঠছে, কেন এমনটা করলেন তিনি?
বৃহস্পতিবার উজবেকিস্তানের সমরখন্দে শুরু হয় দু’দিনের ‘সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন’-এর সম্মেলন। শুক্রবার সম্মেলনের ফাঁকে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেন মোদি ও পুতিন (Putin)। সম্পর্ক মজবুত করা থেকে শুরু করে একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয় দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে বলে খবর। কিন্তু, আজ শনিবার প্রধানমন্ত্রী মোদির জন্মদিন জেনেও তাঁকে আগাম শুভেচ্ছা জানালেন না পুতিন। ফলে প্রশ্ন উঠছে, কেন এমনটা করলেন তিনি? এর উত্তর কিন্তু অত্যন্ত সহজ। রাশিয়ার প্রথা মতে কাউকে জন্মদিনের আগাম শুভেচ্ছা জানানো হয় না। তাই বিষয়টি মনে থাকলেও মোদিকে শুভেচ্ছা জানাননি পুতিন।
[আরও পড়ুন: রানি এলিজাবেথের কফিনের কাছে যেতে দেওয়া হবে না চিনা প্রতিনিধিদের!]
ইউক্রেন যুদ্ধের পর শুক্রবার প্রথম মুখোমুখি বৈঠকে বসলেন মোদি (Modi) ও পুতিন। সেখানে নমোকে উদ্দেশ্য করে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, “ভারতবাসীর প্রতি আমার শুভেচ্ছা। আমার প্রিয় বন্ধু আমি এটাও জানি যে আগামীকাল তোমার জন্মদিন। কিন্তু রুশ প্রথা মতে আমরা কখনওই আগাম শুভেচ্ছা জানাই না। তাই এখনই আমি এটা করতে পারছি না। কিন্তু তুমি জেনে রেখো জন্মদিনের বিষয়টা আমার মনে আছে। এবং তোমার প্রতি শুভেচ্ছাও আছে। তোমার নেতৃত্বে ভারত আরও সমৃদ্ধ হয়ে উঠুক।”
প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে একাধিক বার ফোনে কথা বলেছিলেন মোদি-পুতিন। প্রকাশ্যেও বারবার যুদ্ধের পরিবর্তে কূটনৈতিক ভাবে আলোচনা করে সীমান্ত সমস্যা মিটিয়ে ফেলার পক্ষে সওয়াল করেছে ভারত। আমেরিকা-সহ বেশ কয়েকটি দেশের চাপের মুখে পড়েও রাশিয়ার নিন্দা করেনি ভারত। রাষ্ট্রসংঘেও ভোট দান থেকে বিরত থেকেছে ভারত। পরিবর্তে কম দামে রাশিয়া থেকে অশোধিত তেল আমদানি করেছে ভারত। ফলে আন্তর্জাতিক মহলের নজর ছিল শুক্রবারের বৈঠকের দিকে। আর নিজে অবস্থান বজায় রেখে পুতিনের কাছে যুদ্ধ বন্ধ করার আরজি জানিয়েছেন মোদি।