সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শাসকদল এবং বিরোধী শিবিরের ট্রোলদের সৌজন্যে বাংলা অভিধানে নতুন একটি শব্দ যোগ হয়েছে। ‘ডিম্ভাত’, ডিমের ঝোল আর ভাতের মিশ্রণ। সম্প্রতি তৃণমূলের সমস্তরকম রাজনৈতিক কর্মসূচিতে খাবারের মেনু হিসেবে ডিম-ভাতকে বেছে নেওয়া হচ্ছে। দলনেত্রীর ইচ্ছেতেই এমনটা হচ্ছে। ব্রিগেড সমাবেশে আগত কর্মীদের জন্যও এই ডিমের ঝোল আর ভাতের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু কেন? ডিম ভাতই কেন বেছে নেওয়া হল শাসকদলের মেনুতে? শুধুই কি খরচ কমানোর জন্য? না রয়েছে অন্য কারণও?
[যত্রতত্র মূত্রত্যাগ, মমতার স্বপ্নের শহরকে দূষিত করছেন তাঁরই অনুগামীরা]
১. সস্তায় পুষ্টিকর, খরচ বাঁচানোটাই ডিম ভাতকে মেনু হিসেবে বেছে নেওয়ার একমাত্র কারণ নয়। তবে, অন্যতম একটা কারণ। অত মানুষকে বিরিয়ানি কিংবা চিকেন খাওয়ানোটা সত্যিই খরচ সাপেক্ষ। তাই সস্তার আমিষ খাবার হিসেবে ডিম ভাতের বিকল্প হতেই পারে না।
২. চিকেন বা মাছ, যাই করা হোক না কেন, তার অনেক হ্যাপা। মাছ আনো রে.. আঁশ ছাড়াও রে.. কাটো রে.. চিকেনের ক্ষেত্রেও তাই। ডিমের ক্ষেত্রে এসব ঝামেলা একেবারেই নেই। বাজার থেকে ডিম এনে সেদ্ধ করে ছাড়িয়ে দিলেই হল ।
[মমতার ১:১ ফর্মুলায় উনিশে বিজেপির পরাজয় দেখছেন যশবন্ত সিনহা]
৩. খাওয়াদাওয়ার পর চিকেন বা মাছের হাড় বা কাঁটা যাই বলা হোক না কেন, সভাস্থল নোংরা করার জন্য ‘কাফি’। কিন্তু ডিমের ক্ষেত্রে সেই ঝামেলা নেই।
৪. ডিমের আরেকটা সুবিধা হল, যদি কমও পড়ে সমস্যা নেই। বাজার থেকে এনে কোনওক্রমে সেদ্ধ করে খাইয়ে দেওয়া যেতে পারে। আবার বেশি হলেও নষ্ট হওয়ার ভয় নেই। বাজারে ফেরতও দেওয়া যায়। এতে খরচ অনেক কমে।
৫. এবার আসা যাক রাজনৈতিক সুবিধার কথায়। ডিম-ভাতের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, শুধু ডিম গুণেই বলে দেওয়া যায় সভায় কত লোক হয়েছে। যে কোনও রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রেই উপস্থিতির পরিমাণটা আন্দাজ করা খুব জরুরি। ব্রিগেডের মতো বড় সভায় লোকের সংখ্যা পুরোপুরি সঠিকভাবে আন্দাজ করা না গেলেও, ছোট সভার ক্ষেত্রে হিসেব পাওয়া যায় মোটামুটি সঠিকভাবেই।
৬. নেতা কর্মীদের মধ্যে অনাবশ্যক ঝামেলা এড়ানো যায়। চিকেন বা বিরিয়ানির ক্ষেত্রে অমুক বেশি পেল, তমুক কম পেল গোছের একটা মন কষাকষির সম্ভাবনা থেকেই যায়। কিন্তু ডিমের ক্ষেত্রে সেসব বালাই নেই। একটি করে দিলেই মিটে গেল।
The post ‘ডিম্ভাত’ নিয়ে এত কথা! জানেন কেন ডিমের ঝোলকেই মেনুতে বেছে নিল তৃণমূল? appeared first on Sangbad Pratidin.