সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবার ইডেনে ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ (India vs West Indies) টি-টোয়েন্টি ম্যাচের মাঝে ঋদ্ধিমান (Wriddhiman Saha) ইস্যু নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন সিএবি সচিব স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। সেখানে তিনি বলেন, ঋদ্ধি আর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) মধ্যে যা কথা হয়েছিল, তা ব্যক্তিগত রাখাই উচিত ছিল। সেটা প্রকাশ্যে বলে ঋদ্ধি ঠিক করেননি। এবার সিএবি সচিবকে পালটা দিলেন ঋদ্ধি।
তিনি বললেন, ”শুনলাম উনি বলেছেন যে আমার সঙ্গে দাদির (সৌরভ) কথাগুলো প্রকাশ্যে বলে আমি ঠিক করিনি। এখানে একটা প্রশ্ন করতে চাই। কোচ রাহুল দ্রাবিড় আমাকে কী বলেছিলেন, নির্বাচক প্রধান চেতন শর্মা কী বলেছিলেন, সেটা তাহলে কী করে আগে মিডিয়াতে বেরিয়ে গেল? শ্রীলঙ্কা সিরিজের দল নির্বাচনের অনেক আগেই সেই খবর এক সংবাদ সংস্থায় বেরিয়ে গিয়েছিল। সেটা কী করে হল ?”
[আরও পড়ুন: Wriddhiman Saha: ‘ঋদ্ধিমানের টিম থেকে বাদ পড়া খুবই দুঃখের’, সৌরভকে চিঠি অশোক ভট্টাচার্যের]
দক্ষিণ আফ্রিকা সফর সেরে দেশে ফেরার পরে এক সংবাদ সংস্থা খবর করেছিলেন, জাতীয় দল ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে তাজা রক্ত চায়। দল চায় না ঋদ্ধিমান সাহাকে। শ্রীলঙ্কা সিরিজে ঋদ্ধি যে দলে জায়গা পাবেন না তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। শ্রীলঙ্কা সিরিজের জন্য দল নির্বাচন হয়েছে। সেই দলে জায়গা হয়নি ঋদ্ধিমানের। গোটা দেশ ঋদ্ধিকে নিয়ে তোলপাড়। দক্ষিণ আফ্রিকা সফর চলাকালীন রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে ঋদ্ধির কথা হয়। দু’ জনের মধ্যে কথাবার্তা বেরিয়ে যায় মিডিয়ায়। সেই প্রসঙ্গে ঋদ্ধিমান বলেন, ” আমার আর টিম ম্যানেজমেন্টের মধ্যে যে কথাগুলো হয়েছিল, সেটাও তো ব্যক্তিগত ছিল। কেউ না কেউ তো সেটা মিডিয়ায় আগে জানিয়ে দিয়েছে। তখন তো কেউ কিছু বলেননি। তখন তো কারও মনে হয়নি যে এটা ঠিক নয়। আমি যতক্ষণ টিমের পার্ট ছিলাম, ততক্ষণ একটা কথাও বলিনি। শ্রীলঙ্কা সিরিজের দল থেকে বাদ পড়ার পর কথা বলেছি। কারণ তখন আমি আর টিমের অংশ ছিলাম না। তাছাড়া আমি কিন্তু কোনও সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে কথাগুলো বলিনি। আপানারা সেদিন কালীঘাট মাঠে এসেছিলেন। আপনারাই প্রশ্ন করেছিলেন। আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে আমি কথাগুলো বলেছি। তাছাড়া আমি কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করিনি। আমার সঙ্গে যা যা ঘটেছে, শুধু সেগুলো বলেছি।”
শুধু ঋদ্ধিমান নন, রবি শাস্ত্রী কোচের পদ ছেড়ে চলে যাওয়ার পরে মুখ খুলেছেন অনেক ক্রিকেটারই। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সামনেই কুলদীপ যাদবকে বাহবা জানিয়ে শাস্ত্রী বলেছিলেন, এবার থেকে বিদেশের মাটিতে কুলদীপই একনম্বর স্পিনার হবে। যা শোনার পরে ভেঙে পড়েছিলেন অশ্বিন। পরে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, সেই সময়ে তাঁর মনে হয়েছিল, বাসের চাকায় তিনি পিষ্ট হয়েছেন। অনেক ক্রিকেটারই টিমের খবর প্রকাশ্যে বলেছেন। বিরাট কোহলি বিসিসিআইয়ের সাংবাদিক সম্মেলনে এসে প্রকাশ্যে বোর্ড বিরোধী কথা বলে যান। ক’দিন আগে অজিঙ্ক রাহানেও অস্ট্রেলিয়া সফরের কথা মিডিয়াকে জানান। সেটা নিয়ে কেউ কিছু বলেননি। কোনও কর্তাকে এটা নিয়ে মুখ খুলতেও শোনা যায়নি। তাহলে ঋদ্ধির ক্ষেত্রেই শুধু বলা হচ্ছে কেন?