shono
Advertisement

উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ছেলে রোহিত তিওয়ারি খুনে ধৃত স্ত্রী অপূর্বা

মুখে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
Posted: 03:58 PM Apr 24, 2019Updated: 03:58 PM Apr 24, 2019

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রোহিত শেখর তিওয়ারিকে খুনের অভিযোগে তাঁর স্ত্রী অপূর্বা শুক্লা তিওয়ারিকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। গত তিনদিন ধরে তাঁকে জেরা করা হচ্ছিল। অবশেষে বুধবার তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ১৬ এপ্রিল মৃত্যু হয় রোহিতের। এরপরই পুলিশ জানায়, উত্তরপ্রদেশে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা নারায়ণ দত্ত তিওয়ারির ছেলের মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। খুব সম্ভবত মুখে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে তাঁকে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে আরও দাবি করা হয় যে এইমস থেকে দেওয়া ময়নাতদন্তের রিপোর্টে অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারণ হিসেবে ‘অ্যাসফিক্সিয়া’-র উল্লেখ রয়েছে। যার অর্থ, কোনও কিছু চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করা হয়েছিল তাঁকে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় খুনের মামলা দায়ের করে পুলিশ। মামলার তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়েছে দিল্লি পুলিশে ক্রাইম ব্রাঞ্চের হাতে। তদন্তভার হাতে নিয়ে শুক্রবারই দক্ষিণ দিল্লির ডিফেন্স কলোনিতে রোহিতের বাড়ি গিয়ে পরিবারের সদস্য এবং কাজের লোকদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন ক্রাইম ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা। সঙ্গে ছিলেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরাও। তখন রোহিতের স্ত্রী অপূর্বা দিল্লির বাইরে থাকায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়নি। যদিও রোহিতের মায়ের অভিযোগ ছিল পুত্রবধূ অপূর্বার বিরুদ্ধেই।

[আরও পড়ুন-২০২৩-এর মধ্যেই খতম হবে মাওবাদীরা, দাবি রাজনাথের]

দক্ষিণ দিল্লির অভিজাত পাড়ায় রোহিতের বাড়িতে মোট সাতটি সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। যার মধ্যে দুটি অকেজো। গত ১২ এপ্রিল ভোট দিতে উত্তরাখণ্ড গিয়ে ১৫ তারিখ দিল্লির বাড়িতে ফিরেছিলেন রোহিত। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় দেওয়াল ধরে হাঁটছেন তিনি। ঠিক তাঁর পরদিনই ম্যাক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোহিতের মা উজ্জ্বলা তিওয়ারিকে ফোন করে ছেলের অসুস্থতার খবর দেওয়া হয়েছিল। বাড়িতে সেসময় রোহিতের স্ত্রী অপূর্বা, ভাইপো সিদ্ধার্থ এবং পরিচারক-পরিচারিকারা বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন।

[আরও পড়ুন-‘এখনও কুর্তা-পাজামা ও মিষ্টি পাঠান মমতা দিদি’, অক্ষয়কে জানালেন মোদি]

নিজেকে কংগ্রেস নেতা এন ডি তিওয়ারির ছেলে প্রমাণ করতে ছ’বছর ধরে আইনি লড়াই চালিয়ে যান রোহিত। ডিএনএ পরীক্ষায় প্রমাণ মেলার পর ২০১৪ সালে তাঁকে এন ডি তিওয়ারির ছেলে বলে স্বীকৃতি দেয় দিল্লি হাই কোর্ট। রায় বেরনোর পর রোহিতকে নিজের ছেলে বলে মেনেও নিয়েছিলেন এন ডি তিওয়ারি। ৮৮ বছর বয়সে দাঁড়িয়েও রোহিতের মাকে বিয়ে করেছিলেন। আর গত বছর ৯৩ বছর বয়সে মারা যাওয়ার আগে পর্যন্ত স্ত্রী ও ছেলের সঙ্গেই থাকতেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement