সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভয়াবহ যুদ্ধের সাক্ষী ইউক্রেনের (Ukraine) মাটি। লড়াইয়ের প্রাথমিক অভিঘাত সরিয়ে যত তদন্ত এগোচ্ছে, জানা যাচ্ছে, রুশ সেনার হাতে বন্দি বহু ইউক্রেনীয় মহিলাই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন। এহেন পরিস্থিতিতে প্রকাশ্যে এসেছে এক অডিও ক্লিপ। সেখানে শোনা যাচ্ছে, এক রুশ সৈনিককে ইউক্রেনীয় মেয়েদের ধর্ষণ করতে বলছেন তাঁর স্ত্রী। শুধু তাই নয়, ধর্ষণের সময় গর্ভনিরোধক ব্যবহার করার পরামর্শও দিতে শোনা যায় তাঁকে।
[আরও পড়ুন: মারিওপোল রক্ষায় মরিয়া লড়াই ইউক্রেনের, পরিস্থিতি পরিদর্শনে বাইডেনকে আহ্বান জেলেনস্কির]
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সম্প্রতি একটি অডিও ক্লিপ শেয়ার করেছে ইউক্রেনের নিরাপত্তা বাহিনী (এসবিইউ)। তাতে শিরোনাম- ‘সিকিউরিটি সার্ভিসে ধরা পড়ল: ইউক্রেনীয় মহিলাদের ধর্ষণের জন্য তাঁদের স্বামীদের ছাড়পত্র দিয়েছে রাশিয়ান আক্রমণকারীদের স্ত্রীরা।’ যদিও ৩০ সেকেন্ডের ওই বিস্ফোরক অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করা হয়নি। ১২ এপ্রিল ওই অডিও ক্লিপটি প্রকাশ্যে আনে রেডিও লিবার্টি নামের এক সংস্থা।
প্রসঙ্গত, আমেরিকার জো বাইডেন সরকারের সাহায্যপ্রাপ্ত ওই সংস্থা নানা তথ্য এবং খবরাখবর সম্প্রচার করে। রেডিও লিবার্টির দাবি, ইউক্রেনে যুদ্ধরত রাশিয়ার সেনা রোমান বাইকোভস্কিকে ইউক্রেনীয় মহিলাদের ধর্ষণ করার নির্দেশ দিচ্ছেন তাঁর স্ত্রী ওলগা বাইকোভস্কায়া। এই অডিও ক্লিপটিই শেয়ার করেছে এসবিইউ। ইউক্রেনীয় গোয়েন্দাদের আরও দাবি, ওই দু’টি মোবাইল নম্বরই রাশিয়ার নেটওয়ার্কের। সেগুলি ২৭ বছর বয়সি রাশিয়ার সেনা রোমান এবং তাঁর স্ত্রী ওলগার। দু’জনেই রাশিয়ার ওরালের বাসিন্দা।
যে বুচা শহরের গণহত্যা নিয়ে নিন্দায় সরব হয়েছে গোটা বিশ্ব, সেখানেও উঠে এসেছে ভয়াবহ ছবি। ইউক্রেনের তরফে জানানো হয়েছে, বহু মহিলাকেই বুচা বেসমেন্টে আটক করে রেখেছিল রুশ বাহিনী। তাঁদের মধ্যে অনেকেই এই মুহূর্তে অন্তঃসত্ত্বা। রুশ সেনার আগ্রাসনে সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজধানী কিভের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলি। সমর বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজধানীর দখল পুরোপুরি নিতে না পেরেই নির্বিচারে পাশের শহরগুলিতে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে রুশ সেনা। অন্য মত জানাচ্ছে, গণহত্যা এবং গণধর্ষণের মতো এই যে ভয়াবহ নির্যাতনের ঘটনা সামনে আসছে, তা রেগুলার আর্মি বা পেশাদার রুশ সেনার কাজ নয়। কেননা যে কোনও দেশের সেনাবাহিনিরই কিছু নির্দিষ্ট নীতি বা মিলিটারি কোড অফ কনডাক্ট থাকে। অপরদিকে, পুতিন ইউক্রেনে যে চেচেন সেনা পাঠিয়েছিলেন, তারা নীতি বা নৈতিকতার কোনও ধার ধারে না। অর্থাৎ মানবাধিকার রক্ষা বা কোড অফ কন্ডাক্ট রক্ষার দায় তাদের নেই। মূলত এই চেচেন সেনাদের হাতেই এমন ধ্বংসলীলা সাধিত হয়েছে বলে মনে করেন অনেকে।