shono
Advertisement

বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহার না হলে রাজ্যে রাজ্যে বিজেপি বিরোধী প্রচারের হুঁশিয়ারি টিকাইতের

এদিকে, সোমবার দেশজুড়ে বন্‌ধের ডাক দিয়েছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা।
Posted: 09:17 PM Sep 26, 2021Updated: 09:27 PM Sep 26, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিতর্কিত তিন কৃষি আইন অবিলম্বে ফিরিয়ে নিক কেন্দ্র। না হলে আরও বড় আন্দোলনের পথে হাঁটবেন কৃষকরা। রবিবার এভাবেই ফের একবার কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে হুঁশিয়ারি দিলেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত।

Advertisement

এদিন মহাপঞ্চায়েতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন, অবিলম্বে বিতর্কিত তিন কৃষি আইন কেন্দ্রকে ফিরিয়ে নিতে হবে। নাহলে আন্দোলন আরও জোরদার হবে। আগামী বছর একাধিক বিজেপিশাসিত রাজ্যে নির্বাচন রয়েছে। সেই রাজ্যগুলিতে তিনি নিজে প্রচারে যাবেন। সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা প্রত্যেকটি রাজ্যে গিয়ে সভা করবে। বিজেপিকে যাতে সাধারণ মানুষ ভোট না দেয়, সেই প্রচার চালানো হবে।

[আরও পড়ুন: সাইক্লোন ‘গুলাব’ নিয়ে বাড়ছে আতঙ্ক, বেশ কয়েকটি ট্রেন বাতিল ঘোষণা পূর্ব রেলওয়ের]

এদিকে, আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর তারা দেশজুড়ে ভারত বন্‌ধের ডাক দিয়েছে। সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত এই হরতাল চলবে বলে জানিয়েছে তারা। বামপন্থী দলগুলি আগেই এই বন্‌ধকে সমর্থন জানিয়েছিল। এবার আন্দোলনকারী কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে হরতাল সমর্থন করেছে আম আদমি পার্টি, রাষ্ট্রীয় জনতা দল, অন্ধ্রপ্রদেশের শাসক দল তেলুগু দেশম পার্টি। ফলে দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বন্‌ধের প্রভাব পড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। দোকান-বাজার, পরিবহণ, অনেকটাই বন্ধ থাকতে পারে। উল্লেখ্য, আন্দোলনকারী কৃষকরা পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ জানাবেন। হরতাল সফল করতে বিভিন্ন জেলায় কমিটি তৈরি করেছেন কৃষকরা। বিক্ষোভ জোরদার করতে ট্রেড ইউনিয়ন, চেম্বার অব কমার্স, বার সংগঠন এবং ছাত্র সংগঠনগুলি ভারত বন্‌ধে যোগ দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এদিকে, ধর্মঘটের পক্ষে আহ্বান জানিয়েছে কেরলের শাসক জোট লেফট ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট। এই হরতালকে বেআইনি ঘোষণা করার আরজি জানিয়ে কেরল হাই কোর্টে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু তা খারিজ করে দিয়েছে হাই কোর্ট। ফলে পরিকল্পনামতোই হরতালের পক্ষে প্রচার চালাবে শাসক জোটের বামপন্থী দলগুলি। বিরোধী ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট-সহ বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়ন ও রাজনৈতিক দলও হরতাল সমর্থন করেছে। উল্লেখ্য, হরতালে যাঁরা অংশ না নিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বজায় রাখতে চান, তাঁদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে রাজ্য সরকার। এরপরই হরতালকে বেআইনি ঘোষণার আরজি খারিজ করে দেয় প্রধান বিচারপতি এস মণিকুমার এবং বিচারপতি সাজি পি চ্যালির ডিভিশন বেঞ্চ। তবে সুধীন এস বনাম ভারত সরকার মামলায় কেরল হাই কোর্ট এবং এই ধরনের অন্য মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে মানতে হবে বলে জানিয়েছে হাই কোর্ট।

[আরও পড়ুন: যোগীর মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ, জায়গা পেলেন কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া জিতিন প্রসাদ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement