ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও (Abhishek Banerjee) জেরা করতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই মর্মে কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta HC) থেকে অনুমতি আদায়ের পরও অবশ্য কাজ এগোয়নি। কারণ, হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে অভিষেক সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। শীর্ষ আদালত হাই কোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দেয়। ২৮ এপ্রিল অর্থাৎ শুক্রবার পর্যন্তই ছিল সেই স্থগিতাদেশের মেয়াদ। অর্থাৎ এবার অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই পারেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। তা জেনে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের আত্মবিশ্বাসী প্রতিক্রিয়া, ”আমাকে আগেও ডেকেছে, আমি গিয়েছি। আমি পূর্ণ সহযোগিতা করতে রাজি। আমাকে যবে ডাকবে আমি যাব।”
শুক্রবার কালিয়াগঞ্জের জোড়া মামলায় ১২ ঘণ্টা উত্তরবঙ্গ বন্ধের ডাক দিয়েছে বিজেপি (BJP)। বৃহস্পতিবারই এই ঘোষণা শুনে অভিষেক জানিয়েছিলেন, তিনি নিজের কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন। সেইমতো এদিন সকালে বেরিয়ে জনসংযোগের পর কার্যত চ্যালেঞ্জ নিয়েই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আরও তিনটি অতিরিক্ত কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন। এদিন প্রথমে ধূপগুড়িতে নেমেই বিপুল জনসমাগমের মধ্যে দিয়ে সভায় প্রবেশ করেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সেখানেই সুপ্রিম কোর্টের নয়া নির্দেশ অর্থাৎ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরানো হল, তা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেন তিনি। রায়কে স্বাগত জানান। নাগরাকাটায় এও বলেন, সিবিআই (CBI)ডাকলে তিনি অবশ্যই গিয়ে তদন্তে সহযোগিতা করবেন।
[আরও পড়ুন: ‘জামিন আটকাতে তদন্ত শেষ না করেই চার্জশিট জমা দেওয়া যাবে না’, মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের]
পাশাপাশি বিজেপির ডাকা বন্ধের কোনও প্রভাব নেই বলেও দাবি করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মালের ওদলাবাড়ির সভা থেকে তিনি বলেন, ”শুনেছিলাম বিজেপি বন্ধ ডেকেছে। সভার চেহারা দেখে মনে হচ্ছে না জেলায় কোথাও কোনও বন্ধ হয়েছে। মানুষ ‘ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’ সংস্কৃতি প্রত্যাখ্যান করেছে।” চা বলয়ে জনসংযোগ করতে গিয়ে তিনি লড়াইয়ের বার্তা দেন। বলেন, ”৩ মাস, ৬ মাস, ১ বছরে নিজেদের স্বার্থে লড়তে হবে। আমিও দিল্লি যাব। ১ বছরের মধ্যে দিল্লি যাব। আপনাদের হকের টাকা নিয়ে আসব।”