সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোয়াড সম্মেলনে যোগ দিতে জাপানে গিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। সেখান থেকেই চিনের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দিলেন তিনি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে প্রতিবেশী তাইওয়ানে (Taiwan) হামলা চালাতে পারে চিন, এমনটা মনে করেছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই প্রসঙ্গেই চিনকে (China) হুঁশিয়ারি দিয়ে বাইডেন বলেছেন, তাইওয়ান আক্রমণ করলে আমেরিকাও চুপ করে থাকবে না। প্রয়োজন পড়লে তাইওয়ানকে রক্ষা করার জন্য যুদ্ধেও নামতে পারে মার্কিন সেনা। এহেন বক্তব্যের পালটা জবাব দিয়েছে চিনও।
সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, চিন আগুন নিয়ে খেলছে। বহুদিন ধরেই স্বশাসিত তাইওয়ান দখলের চেষ্টা করছে লালফৌজ। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সাম্প্রতিক অতীতে চিনের আগ্রাসন প্রসঙ্গে এত আক্রমণাত্মক বার্তা দেওয়া হয়নি হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে। ইউক্রেনে রুশ হামলার তীব্র নিন্দা করেছে আমেরিকা এবং জাপান। সেই প্রসঙ্গেই বাইডেন মনে করিয়ে দিয়েছেন চিনের আগ্রাসী নীতির ফলে ইউক্রেনের (Russia-Ukraine War) মতোই অবস্থা হবে তাইওয়ানের।
[আরও পড়ুন: Narendra Modi: ‘আপনাকে স্বাগত’, জাপানি বালকের মুখে হিন্দি শুনে অভিভূত মোদি]
সাংবাদিক সম্মেলনে বাইডেনকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তাইওয়ানকে রক্ষা করতে কী সামরিক ভাবেও উদ্যোগী হবে আমেরিকা? উত্তরে বাইডেন বলেন, “হ্যাঁ”। তিনি আরও বলেন, “আমরা এই প্রতিজ্ঞাই করেছি”। প্রসঙ্গত, সোমবারই আমেরিকা এবং জাপানের যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয়, প্রত্যেকটি দেশের সার্বভৌমত্ব বজায় রাখতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে এই দুই দেশ।
বাইডেন সাংবাদিকদের বলেন,”আমরা ‘এক চিন নীতি’তে সই করেছি। কিন্তু তার মানে এই নয়, বলপ্রয়োগের মাধ্যমে তাইওয়ান দখল করা জেতে পারে। চিন যদি তাইওয়ানে হামলা করে, তাহলে ইউক্রেনের মতোই অবস্থা হবে তাইওয়ানের।” এক চিন নীতিতে তাইওয়ানকে নিজের অংশ বলে মনে করে চিন। কিন্তু আমেরিকার কূটনৈতিক ভাবে স্বাধীন সম্পর্ক রয়েছে তাইওয়ানের সঙ্গে।
এদিকে আমেরিকাকে পালটা দিয়েছে চিন। “তাইওয়ান চিনের অভ্যন্তরীণ বিষয়”, জানিয়েছে চিনের বিদেশমন্ত্রক। আরও বলা হয়েছে, “সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতায় হস্তক্ষেপ করলে মোটেই আপস করবে না চিন।” চিনের মানুষের মানসিকতার উল্লেখ করে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেছেন, “চিনের মানুষের দৃঢ় সংকল্প, ইচ্ছাশক্তি ও ক্ষমতাকে কেউ যেন ছোট করে না দেখে।”
বেশ কিছুদিন ধরেই তাইওয়ান সংলগ্ন অঞ্চলে মহড়া দিচ্ছে লালফৌজের নৌবাহিনী। তাইওয়ানের আকাশসীমাতেও দেখা গিয়েছে চিনের বিমান। সেই প্রসঙ্গে বাইডেন বলেছেন, “আগুনের সঙ্গে খেলা করছে চিন।” ইউক্রেনে হামলা চালানোর কারণে রাশিয়ার উপরে নানা নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে আমেরিকা-সহ অন্যান্য দেশগুলি। সেই বিষয়টি মনে করিয়ে দিয়ে বাইডেন বলেছেন, “পুতিনকে এই হামলার মূল্য চোকাতে হবে। চিনেরও এই কথা মনে রাখা উচিত, বলপ্রয়োগ করে তাইওয়ান দখলের চেষ্টা করলে কী কী মূল্য দিতে হবে চিনকে।”