রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Elections 2024) আগে জেলায় জেলায় নির্বাচন কমিটি করা নিয়ে চরম কোন্দল বঙ্গ বিজেপিতে। সদ্য তৈরি হওয়া বিজেপির লোকসভা নির্বাচন কমিটির দায়িত্ব ভাগের তালিকায় কোথাও নাম নেই দিলীপ ঘোষের।
লোকসভা ভোটের প্রস্তুতিতে মঙ্গলবার নিউটাউনের একটি হোটেলে বৈঠক করে বিজেপি। যেখানে দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা ছাড়াও অন্যান্য নেতৃত্ব ছিলেন। ওই বৈঠকেই ঘোষণা করা হয় আগে থেকে তৈরি করা নির্বাচন পরিচালন কমিটি। মোট ১০১ জন সদস্য থাকছেন কমিটিতে। তাঁদের নিয়ে তৈরি হচ্ছে ৩৫টি বিভাগ। সেই সব বিভাগের প্রধানদের নামও ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু কোথাও দিলীপের নাম নেই। একই সঙ্গে লোকসভা যোজনার শীর্ষ নেতৃত্বের তালিকাও তৈরি হয়েছে। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত চার কেন্দ্রীয় নেতা ছাড়াও ওই কমিটিতে রয়েছেন পাঁচ সাধারণ সম্পাদক। মোট ১৩ জনের তালিকায় রয়েছেন দুই সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী এবং সতীশ ধন্দ। সেখানেও নেই দিলীপের (Dilip Ghosh) নাম।
[আরও পড়ুন: খাস কলকাতার রাস্তায় মদ্যপের তাণ্ডব, ভ্যানচালককে ধাক্কার পর গাড়ির উপর নাচ যুবকের!]
ফলে লোকসভার আগে এই মুহূর্ত দিলীপ কার্যত ঝাড়া হাত পা। কোনও কেন্দ্রীয় পদ নেই। রাজ্যস্তরে কোনও পদ নেই। লোকসভা ভোটের কোর কমিটিতে থাকলেও কোনও পদে নেই। দিলীপ আপাতত শুধুই সাংসদ। যদিও বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি বলছেন, “এই ধরনের কোনও কমিটি হয়েছে বলে জানা নেই। তাছাড়া লোকসভার আগে আমাকে তো ফাঁকা থাকতেই হবে। দল যেখানে যেতে বলবে যাব।”
[আরও পড়ুন: ফের হামলার আশঙ্কা ইডির? এবার শক্তি বাড়িয়ে অভিযান]
একা দিলীপ বাদ বলে নয়, দলের একাধিক সাংসদ ও বিভাগের নেতারা অভিযোগ করেছেন, লোকসভা ভিত্তিক নির্বাচনী কোর কমিটি করা হয়ে যাচ্ছে, অথচ তাদের কিছুই জানাচ্ছেন না জেলা সভাপতিরা। সূত্রের খবর, হুগলি লোকসভার ক্ষেত্রেও এই অভিযোগ তোলেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। বিষয়টি নিয়ে রাজ্যর দুই নেতার উপর চরম ক্ষুব্ধ হয়েছেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা। পাশপাশি সমস্ত স্তরের নেতাদের ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে ১০১ জনের লোকসভা নির্বাচনের বর্ধিত কমিটি হয়েছে। কিন্তু সেই কমিটির চেয়ারম্যানের পদটি ফাঁকা রাখা হয়েছে। সূত্রের খবর, চেয়ারম্যান কাকে করা হবে সেটা এখনও ঠিক করে উঠতে পারা যাচ্ছে না। এর পিছনে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের বিষয়টি রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। এমনকি, দিল্লি থেকে দায়িত্ব পাওয়া অমিত শাহ ঘনিষ্ট সতীশ ধনধ কেও রাখা হয়েছে অন্ধকারে। বাংলায় ১৮টি লোকসভা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা সতীশ ধনধকেও জানানো হয়নি বিভিন্ন লোকসভা ভিত্তিক কমিটিতে কারা আছেন সে বিষয়ে। সতীশ নিজেও বৈঠকে এটা নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলে খবর। পুরো অভিযোগের আঙুল উঠেছে বঙ্গ বিজেপির (BJP) সাংগঠনিক প্রধান অমিতাভ চক্রবর্তী ও রাজ্যর কয়েকজন শীর্ষ নেতার দিকে। এই কোন্দল নিয়ে চরম ক্ষুব্ধ দিল্লির নেতারা।