সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভুয়ো অ্যাকাউন্ট থেকে হওয়া পোস্টের জন্য বিদেশের মাটিতে গ্রেপ্তার ভারতীয়। অথচ, ঘটনার তদন্তে পুলিশকে সহযোগিতা করছে না ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। যার জেরে এবার এই সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মটিকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে দিল কর্ণাটক হাই কোর্ট (Karnataka High Court)। তদন্তে সহযোগিতা না করা হলে ভারতে ফেসবুকের কাজকর্ম বন্ধ করে দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছে আদালত।
আসলে ২০১৯ সালে কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালুরুর এক প্রৌঢ় সৌদি আরবে গ্রেপ্তার হন। তাঁর বিরুদ্ধে সৌদির রাজা এবং তাঁর পরিবারকে নিয়ে ফেসবুকে আপত্তিজনক মন্তব্য করার অভিযোগ ছিল। শৈলেশ কুমার (Sailesh Kumar) নামের ওই ব্যক্তির স্ত্রীর দাবি, পোস্টটি শৈলেশ করেননি। তাঁর নামে ফেক অ্যাকাউন্ট বানিয়ে অন্য কেউ করেছে। যার জেরে এখনও সৌদির জেলে বন্দি তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘উনি আছেন বলেই বুকে বল পাচ্ছি’, সালানপুরে মীনাক্ষীকে পাশে নিয়ে মনোনয়নে বাম প্রার্থীরা]
৫২ বছর বয়সি শৈলেশ প্রায় ২৫ বছর সৌদিতে কাজ করেছেন। তাঁর স্ত্রী ও পরিবার থাকে ম্যাঙ্গালুরুতে। ২০১৯ সালে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA) ও এনআরসি-র (NRC) সমর্থনে কিছু পোস্ট ফেসবুকে দিয়েছিলেন শৈলেশ। কিন্তু তারপরই দেখা যায় তাঁর নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট বানিয়ে অন্য কেউ সৌদির রাজা ও আরও কিছু সংবেদনশীল বিষয় সম্পর্কে বিতর্কিত পোস্ট করে দেন। বিষয়টি দ্রুত পরিবারক বিষয়টি জানান শৈলেশ। ম্যাঙ্গালুরুতে এই নিয়ে পুলিশে অভিযোগও জানানো হয়। কিন্তু এর মধ্যেই সৌদি পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এখনও তিনি জেলবন্দি।
[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটের আবহে উত্তেজনা নন্দীগ্রাম, সামলাতে ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন কুণাল ঘোষ]
ঘটনার তদন্তভার নেয় ম্যাঙ্গালুরু পুলিশ। ফেসবুকে (Facebook) চিঠি পাঠিয়ে ভুয়ো অ্যাকাউন্টটি সম্পর্কে জানতে চান তদন্তকারীরা। কিন্তু পুলিশের দাবি, ফেসবুক কোনও উত্তর করেনি। তদন্তে বিলম্বের জেরে ২০২১ সালে কর্ণাটক হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিযোগকারী। তার পর, বুধবার, বিষয়টি নিয়ে ফেসবুককে কড়া হুঁশিয়ারি দেয় কর্ণাটক হাই কোর্ট। ফেসবুককে হাই কোর্টের নির্দেশ, জরুরি তথ্য-সহ সম্পূর্ণ রিপোর্ট আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে হাই কোর্টে পেশ করতে হবে। একই সঙ্গে ভারত সরকারের কাছে আদালত জানতে চেয়েছে, ভুয়ো মামলায় এক ভারতীয় নাগরিকের গ্রেপ্তারির ব্যাপারে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে? আগামী ২২ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানি।