সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উৎসবের মরশুম কাটেনি এখনও। তবে একুশে লড়াইয়ের ওয়ার্ম-আপ করতে নেমে গিয়েছে সব রাজনৈতিক শিবির। প্রচারের পাশাপাশি যুযুধান প্রতিপক্ষ একে অপরের সঙ্গে বাকযুদ্ধে লিপ্ত হয়ে উত্তাপ বাড়াচ্ছেন নেতা, মন্ত্রীরা। সোমবার বারাসতের চা-চক্র থেকে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে (Jyotipriyo Mullick) নিশানা করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তাঁর শ্লেষ, ”জ্যোতিপ্রিয় কোথায় দাঁড়াবেন শুধু বলুন। যে কেন্দ্রেই দাঁড়াবেন, ওঁকে হারিয়ে দেব। ওঁকে আর মানুষ চায় না।”
একুশের আগে জনসংযোগে বেশ গুরুত্ব দিচ্ছে গেরুয়া শিবির। একেবারে জনতার মাঝে মিশে যেতে না পারলে তৃণমূলের বিপুল জনপ্রিয়তায় ভাঙন ধরানো মুশকিল, তা যথেষ্ট টের পেয়েছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। তাই অনেকদিন আগে থেকেই চায়ে-পে-চর্চা শুরু করেছেন দিলীপ ঘোষরা। বিধানসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই তাতে জোর দিচ্ছেন। প্রায় রোজ কোথাও না কোথাও চা-চক্রে যোগ দিচ্ছেন দলের রাজ্য সভাপতি।
[আরও পডুন: অবশেষে স্বস্তি, গত ২৪ ঘণ্টায় অনেকটা নিম্নমুখী বাংলার কোভিড গ্রাফ]
সোমবার তেমনই চা-চক্র ছিল বারাসতের (Barasat) কলোনি মোড়ে। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রায় গড়ই বলা চলে। আর সেখানে গিয়েই তাঁকে খোলাখুলি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন দিলীপ ঘোষ। ‘কাটমানি’ ইস্যুতেও তাঁকে বিঁধেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। পালটা জবাব দিতে অবশ্য ছাড়েননি খাদ্যমন্ত্রীও। সংবাদমাধ্যমে তিনি দিলীপ ঘোষের মন্তব্যকে কার্যত ‘পাগলের প্রলাপ’ বলে উড়িয়েছেন। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের জবাব, ”উনি পাগলের মতো কথা বলছেন। নিজেদের সংগঠনের জোর নেই অথচ আমাদের হারানোর কথা বলছেন। ভোটের আগে ওঁরাই রাজ্যে অশান্তি তৈরি করছে, অস্ত্র আমদানি করছেন।”
[আরও পডুন: জন্মদিনেও অব্যাহত বিতর্ক, এবার বাঁকুড়ার বিরসা মু্ন্ডার মূর্তি শুদ্ধিকরণ বিজেপির]
এদিন দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, বাংলাকে গুজরাটের মতো উন্নতির শিখরে নিয়ে যাওয়া তাঁদের লক্ষ্য। এ নিয়েও তাঁকে পালটা কটাক্ষ করেছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর কথায়, ”গুজরাট কিংবা উত্তরপ্রদেশ মডেল এখানে চলবে না, এটা বাংলা। আগে উত্তরপ্রদেশে যে অরাজকতা চলছে, তা বন্ধ করুন, তারপর বাংলা নিয়ে ভাববেন।” একুশে এ রাজ্যে ২০০ আসন দখলের লক্ষ্যে লড়তে নামা বিজেপি নেতৃত্ব যে এভাবেই ক্রমশ সুর চড়াবেন, তা স্পষ্ট। তবে শাসকশিবির কীভাবে এর মোকাবিলা করে, সেটাই দেখার।