সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোনওদিন বিজেপিতে যাব না, ওরা রাষ্ট্রপতি কিংবা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দিলেও গেরুয়া শিবিরে যোগ দেবো না। ভোটের বাজারে বিজেপিকে (BJP) তোপ দেগে ঘোষণা দিলেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া (Siddaramaiah)। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা বলেন, শূদ্র, দলিত ও নারীদের আরএসএস-এ (RSS) স্থান নেই। এমন দলে কোনওভাবেই যোগ দিতে পারব না।
এদিন মাইসোরে তপসিলি জাতি ও উপজাতিদের একটি সভায় যোগ দেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে দলীয় নেতা এম লক্সমনের জন্য ভোটপ্রার্থনাও করেন সেখানে। সিদ্দারামাইয়া বলেন, একটি নীতি বা আদর্শ থেকে রাজনৈতিক শক্তির জন্ম হয়ে থাকে। মানুষ যেন বিজেপি-আরএসএসের কাছে না যায়। বিজেপি-আরএসএস-এ শূদ্র, দলিত ও মহিলাদের কোনও স্থান নেই।
[আরও পড়ুন: হাতে নগদ মাত্র ৫৫ হাজার, রাহুল গান্ধীর মোট সম্পত্তির পরিমাণ কত?]
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবেগৌড়াকেও একহাত নেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা। বলেন, 'যে দেবগৌড়া বলেছিল মোদি প্রধানমন্ত্রী হলে তিনি দেশ ছাড়বেন। সেই তিনি আজ বলছেন মোদির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নাকি অবিচ্ছদ্য। রাজনৈতিক নেতাদের আদর্শগত স্বচ্ছতা থাকা উচিত।' গেরুয়া শিবিরকে সরাসরি আক্রমণ করেন সিদ্দারামাইয়া। বলেন, 'বিজেপি এবং আরএসএস সামাজিক ন্যায়ের বিরোধী। সেই কারণেই সংরক্ষণ চায় না ওরা। পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের অধিকার হল সংরক্ষণ। ততদিন অবধি সংরক্ষণ জরুরি, যতদিন সমাজে বর্ণবাদ রয়েছে।'
[আরও পড়ুন: ‘দেশকে বাঁচাবে ইন্ডিয়া’, চিরাগের দল ছেড়ে বিরোধী জোটে ২২ নেতা, বিহারে বিপাকে এনডিএ]
মনুসংহিতা, সতীদাহ প্রথা এবং ব্রিটিশ ভারতের সমাজ ব্যবস্থার কথা টেনে সিদ্দারামাইয়া প্রশ্ন তোলেন, 'ব্রিটিশ আমলে পঠনপাঠনের অধিকার ছিল শূদ্রদের? নারীর অধিকার ছিল? স্বামীর সঙ্গে জীবন্ত পুড়িয়ে দেওয়া হত তাদের। মনুসংহিতা দ্বারা অনুপ্রাণিত এই ধরনের অমানবিক প্রথা আমাদের সংবিধানে নিষিদ্ধ হয়েছিল।' সিদ্দারামাইয়া দাবি করেন, 'সংবিধান সংশোধন করে মনুর ভারত ফেরাতে চাইছে বিজেপি। একথা বুঝতে হবে মানুষকে।'