সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাইওয়ান দখল করতে মরিয়া চিন (China)। যে কোনওভাবে দ্বীপরাষ্ট্রটির স্বাধীনতা হরণ করার চেষ্টা করছে শি জিনপিংয়ের প্রশাসন। এহেন সময়ে বেজিংকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে আমেরিকা স্পষ্ট জানিয়েছে, তাইওয়ানকে সমস্ত শক্তি দিয়ে রক্ষা করবে তারা।
[আরও পড়ুন: মুদ্রাস্ফীতিতে ৭০ বছরের রেকর্ড ভেঙে চরম দুরবস্থা পাকিস্তানের! জনতার দরবারে কোণঠাসা ইমরান]
শুক্রবার আমেরিকা ও তাইওয়ানের সম্পর্ক ‘পাথরের মতো শক্ত’ বলে দাবি করেন তাইপেইয়ে নিযুক্ত মার্কিন প্রতিনিধি সান্দ্রা অউদকার্ক। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “তাইওয়ানকে আত্মরক্ষায় মদত দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আমেরিকা।” এদিকে মার্কিন প্রতিনিধির মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছে চিন। রয়টার্সকে দেওয়া এক বিবৃতিতে চিনা বিদেশমন্ত্রক কড়া ভাষায় আমেরিকাকে হুমকি দিয়েছে। বেজিংয়ের তরফে জারি করা ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আগুন নিয়ে খেলবেন না। এর ফলে চিন-আমেরিকা সম্পর্কে ভয়াবহ প্রভাব পড়বে। শুধু তাই নয়, তাইওয়ান প্রণালীতে শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে।”
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই ফের তাইওয়ান (Taiwan) ‘দখল’ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। উদ্দেশ্য স্পষ্ট করে চিন-তাইওয়ানের ‘পুর্নমিলন’ নিয়ে সওয়াল করেছিলেন তিনি। এহেন পরিস্থিতিতে গতকাল তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন স্পষ্ট জানিয়েছেন যে চিনের থেকে বিপদ প্রতিদিন বাড়ছে।
রাবরই তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ হিসেবে দাবি করে এসেছে চিন (China)। তবে বেজিংয়ে ক্ষমতার রাশ শি জিনপিংয়ের হাতে আসার পর থেকেই আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে কমিউনিস্ট দেশটি। একাধিকবার জোর করে তাইওয়ান দখলের কথাও বলেছেন প্রেসিডেন্ট শি। তারপর থেকেই আরও সতর্ক হয়ে গিয়েছে দেশটি। লালফৌজের হামলা ঠেকাতে সামরিক বাহিনীকে অত্যাধুনিক হাতিয়ারে সাজিয়ে তুলছে তাইওয়ান। দ্বীপরাষ্ট্র হওয়ার সুবাদে সমুদ্রেই চিনকে রুখে দিতে এবার দেশেই অত্যাধুনিক সাবমেরিন বাহিনী তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। সবমিলিয়ে, তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে আমেরিকা ও চিনের সংঘাত তুঙ্গে।