সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি দিল্লি যাচ্ছেন, নীতি আয়োগের বৈঠকেও যোগ দেবেন। কিন্তু সেটা বাংলার বঞ্চনা এবং রাজ্যভাগের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ করার লক্ষ্যে। দিল্লি উড়ে যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে হুঙ্কার ছাড়লেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দিল্লি গেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
গত কয়েকদিন ধরে নতুন করে দানা বাঁধছে বাংলা ভাগ প্রসঙ্গ। সূত্রপাত হয়েছিল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের এক পদক্ষেপে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে দেখা করে উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলাকে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন সুকান্ত। এর পর আবার বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে বাংলার দুই জেলা মালদহ এবং মুর্শিদাবাদ-সহ ঝাড়খণ্ড এবং বিহারের কয়েকটি জেলা নিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠনের ডাক দিয়েছেন। সব মিলিয়ে বাংলাভাগের চক্রান্তের অভিযোগ উঠছে বিজেপির বিরুদ্ধে। এদিন দিল্লি যাত্রার আগে মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলা ভাগের এই চক্রান্ত কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।
[আরও পড়ুন: বাংলা ভাগের চক্রান্তের প্রতিবাদ নীতি আয়োগের বৈঠকে, দিল্লি যাওয়ার আগে ঘোষণা মমতার]
দিল্লি যাওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "ওরা বাংলাকে বিভিন্ন দিক থেকে চাপে অবরুদ্ধ করার চেষ্টা করছে। বাজেটে বঞ্চনা করেছে। রাজ্যের টাকা আটকে রাখছে। এমনকী বাংলাকে ভাঙার চক্রান্ত করা হচ্ছে। বাংলা ভাগের কথা বলছেন খোদ কেন্দ্রের মন্ত্রী। বিজেপির (BJP) নেতারাও রাজ্য ভাগের চক্রান্ত করছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা করছি। এই চক্রান্ত মেনে নেওয়া হবে না। বাংলা ভাগ মানেই ভারত ভাগ। এই চক্রান্ত মানা হবে না। এই পরিস্থিতিতে প্রতিবাদ জানানোর মঞ্চ নীতি আয়োগ। আমি যাব, কিছুক্ষণ থাকব। বলতে দিলে বলব। না হলে বেরিয়ে চলে আসব।"
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশিদের ‘আশ্রয়’ মন্তব্য, ঢাকার ক্ষোভের পর মমতাকে সতর্কবার্তা বিদেশমন্ত্রকের]
ইন্ডিয়া (INDIA) জোটের সাত মুখ্যমন্ত্রী নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কট করেছেন। কিন্তু মমতা সে পথে না হেঁটে ওই মঞ্চ থেকেই রাজ্যের বঞ্চনার কথা তুলে ধরতে চান। মুখ্যমন্ত্রী দিল্লি যাওয়ার আগে বললেন, "সাত দিন আগেই আমাদের ভাষণের লিখিত প্রতিলিপি পাঠিয়ে দিতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাভাগের চক্রান্ত হচ্ছে। বাজেটেও যেভাবে বাংলা-সহ অন্যান্য বিরোধী শাসিত রাজ্যকে বঞ্চনা করা হয়েছে, এই বিদ্বেষ মেনে নিতে পারছি না। এই রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব মানা সম্ভব নয়। নীতি আয়োগ থেকেই এর প্রতিবাদ করব।"