সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উনিশের লোকসভা নির্বাচন কিংবা একুশের বিধানসভা নির্বাচন – ভোটের প্রচারে ঘনঘন বাংলায় যাতায়াত করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু বিশেষ লাভ হয়নি। এ রাজ্য থেকে প্রত্যাশার চেয়ে ঢের খারাপ ফলাফল করেছে বিজেপি (BJP)। হাতে গোনা কয়েকটি আসনই জিতেছে। এই জায়গায় দাঁড়িয়ে শুক্রবার সিউড়িতে (Suri) জনসভা করতে এসে অমিত শাহ (Amit Shah)আগামী লোকসভা নির্বাচনের টার্গেট বেঁধে দিলেন। বাংলার ৪২টি আসনের মধ্যে ৩৫টি জেতার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করলেন। তাঁর এই টার্গেট নিয়ে তীব্র ভাষায় বিঁধল তৃণমূল। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের কথায়, ”৩৫ আসন টার্গেট! একটা আসন পেতে কালঘাম ছুটবে। শূন্য থেকে এক হবে কি না, ভেবে দেখুন।”
[আরও পড়ুন: ‘মোদি হটাও দেশ বাঁচাও’ পোস্টার লাগিয়ে বিতর্কে হরভজন সিং, পদক্ষেপের নির্দেশ কমিশনের]
এদিন অমিত শাহ সভা করে ফিরে যাওয়ার পরই তৃণমূলের (TMC) তরফে টুইট করা হয়। তাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ‘পরিযায়ী পাখি’, ‘দিল্লি ফিরে গিয়ে নিজের কাজ করুন’ এসব শব্দবন্ধে অমিত শাহকে আক্রমণ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ”বাংলার মানুষজন আপনার বিষয়ে আগ্রহী নয়, আপনার মিথ্যা কথা, ঘৃণাভাষণ সম্পর্কে তাঁরা সব জানেন।” অমিত শাহ আসার আগে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে তাঁর উদ্দেশে পাঁচটি প্রশ্ন করেছিলেন পার্থ ভৌমিক ও মহুয়া মৈত্র। এদিন তার সবকটাই এড়িয়ে গিয়েছেন অমিত শাহ। উপরন্তু পঞ্চায়েত ভোট (Panchayet Election) নিয়ে একটি কথাও শোনা গেল না তাঁর গলায়।
অমিত শাহর বক্তব্যের পালটা দিতে আসরে নেমেছেন তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা, পার্থ ভৌমিক, সুখেন্দুশেখর রায়রা একযোগে তাঁর কাছে তৃণমূলের করা পাঁচ প্রশ্নের উত্তর চেয়েছেন। সকলেরই বক্তব্য, আবাস যোজনার টাকা, ১০০ দিনের কাজের টাকা কবে পাবে রাজ্য? সারদা কাণ্ডে সিবিআইয়ের এফআইআরে উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিচ্ছে বিজেপি, এসব প্রশ্নের জবাব চেয়েছেন তাঁরা। অমিত শাহর বক্তব্যকে ‘অগণতান্ত্রিক’ বলে ব্যাখ্যা করেছে তৃণমূল শিবির।